নভেম্বরেই শুরু বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া, ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির

0
3

সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বর থেকেই শুরু হবে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

দেশের মধ্যে বাংলাই প্রথম যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি রুলবুক তৈরি করে শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাব বিকাশ ভবন থেকে পাশ হয়ে গিয়ে নবান্নের কাছে পৌঁছেছে। এখন অর্থ দফতর থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রথম পর্যায়ে ২৭১৫ পদে হবে নিয়োগ। এরপর ধাপে ধাপে আরও নিয়োগ হবে। এই বিষয়ে শিক্ষকতা করতে গেলে কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে তা লেখা রয়েছে ওই রুলবুকে। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানান, এই বিশেষ শিক্ষকদের রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (আরসিআই) থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। তাদের ডিএলএড ট্রেনিংয়ের বদলে এই আরসিআই- এর ট্রেনিং থাকতে হবে। পাশাপশি টেট পরীক্ষায় ৮০ শতাংশ ওয়েটেজ ও অ্যাপটিটিউট ও ইন্টারভিউ রাউন্ডে ১০-এ ১০ পেতে হবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়ারা রয়েছে তাদের জন্য নিয়োগ করতে হবে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের, এই নির্দেশ আগেই দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এবার এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজই গুটিয়ে নিয়ে এল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা চলতি বছরের ১৩ জুন নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। সেইমতই শুরু হয়েছে তোড়জোড়।

অর্থ দফতরের অনুমোদন মিললেই, স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানতে চাইবে কোন জেলায় কত এই রকম বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়ুয়া আছে। একইসঙ্গে কোন বিদ্যালয়ে কত সংখ্যক এই ধরনের পড়ুয়া আছে সেই তথ্যও সংগ্রহ করবে পর্ষদ। এরপর সেইমতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে গোটা প্রক্রিয়াই শুরু হবে হাতেগোনা আর কয়েকদিনের মধ্যেই।

আরও পড়ুন- সারের জোগানেও এবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, বিকল্প ভাবনা রাজ্য সরকারের