আর জি করকে সামনে রেখে রাজ্যে গোপনে আঁতাঁত করে বাম-অতি বাম সংগঠনগুলি। শাসকদলের এই অভিযোগে সিলমোহর দিলেন সিপিআইএম (এল) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছিলেন তাঁরা। এই প্রথম CPIML (লিবারেশন)-কে আসন ছেড়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। নৈহাটি উপানির্বাচনে বাম সমর্থিত লিবারেশনের প্রার্থী দেবজ্যোতি মজুমদার (Debajyoti Majumder)। আর সেই প্রেক্ষিতে এবার বামফ্রন্ট্রে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন সিপিআইএম (এল) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য (Dipankar Bhattacharya)। তবে, বামফ্রন্ট নাম পছন্দ নয় তাঁদের। বাংলায় বৃহত্তর বাম ঐক্যে নাম বদেলর পক্ষে সওয়াল করেন দীপঙ্কর। একই সঙ্গে আর জি কর আন্দোলনে বামেদের সঙ্গে অতিবাম যোগ স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই প্রথম নকশালপন্থী CPIML (লিবারেশন)কে আসন ছাড়ল আলিমুদ্দিন। নৈহাটি উপানির্বাচনে বাম সমর্থিত লিবারেশনের প্রার্থী হচ্ছেন দেবজ্যোতি মজুমদার (Debajyoti Majumder)। সিপিএম থেকে বেরিয়ে গিয়ে চারু মজুমদারের নেতৃত্বাধীন নকশালপন্থীরা পৃথক সিপিআইএমএল তৈরি হয়। গত ৫৫ বছরে তাদের সঙ্গে সিপিএমের কোনও আসন সমঝোতা হয়নি। চারু মজুমদারের পুত্র অভিজিৎ মজুমদার যখন লিবারেশনের বর্তমান রাজ্য সম্পাদক সেই সময়ে লিবারেশনের সঙ্গে বাংলায় প্রথম বামদের আসন সমঝোতা হল। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লিবারেশনের সঙ্গে একাধিক বার CPIM, CPI-র আসন সমঝোতা হলেও রাজ্য চেষ্টা করেও ফলপ্রসূ হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বদলের পরেই বামেদের হাত ধরায় অনিহা কংগ্রেসের। উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেও বিধান ভবনের তরফে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি- বলে সূত্রের খবর। ফলে সিপিআইএম (এল) লিবারেশনকে আসন ছেড়েছে সিপিআইএম। এই সূত্রে এবার ফ্রন্টে যোগ দিতে পারে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের দল। তবেস সেক্ষেত্র বামফ্রন্ট নামে রাজি নয় তারা।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের (Dipankar Bhattacharya) মতে, বামফ্রন্টের নাম বদলে বৃহত্তর বাম ঐক্যের নয়া নামকরণ হলে সেই ফ্রন্টে যোগ ভাবা যেতে পারে। ইঙ্গিত দেন সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবার কি বামফ্রন্টে যোগ দেবেন তাঁরা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রশ্নটা ভবিষ্য তের উপর ছেড়ে দিতেই পারি। বৃহত্তর বাম ঐক্যস দরকার, নতুন নাম দরকার। নামটা বদলে অন্যব করতে পারলে ভালো হয়।“ স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
আর জি করকে সামনে রেখে রাজ্যে গোপনে আঁতাঁত করে বাম-অতি বাম সংগঠনগুলি। ভোটবাক্সে তল না পেয়ে পাতাকা ছেড়ে বাংলায় অরাজকতা তৈরি ছক কষা হয় বলে অভিযোগ শাসকদলের। এই বিষয় নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেন দীপঙ্কর। বাম-অতিবামরা আর জি কর আন্দোলনে যেভাবে সক্রিয়ভাবে রয়েছে তা এদিন স্বীকার করে নিয়েই সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সর্বশক্তি দিয়েই আমরা এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। আমাদের সব ফ্রন্টের কর্মীরা এই আন্দোলনের মধ্যে আছে।“ দীপঙ্কর স্পষ্ট জানান, “আন্দোলন ছিল অভূতপূর্ব। এই নাগরিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে নতুন রাজনীতির ভাষা তৈরি করেছে। আমরা বাম ঐক্যের চেষ্টা আগেও করেছিলাম। এবার সঠিক প্রত্যুত্তর পাওয়া গিয়েছে। সিপিএম নেতৃত্ব যখন ঠিক করেছে দায়িত্ব নিয়েই করেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই বোঝাপড়া নতুন।“