উন্নয়নমূলক কাজে বাংলাকে টপকাতে পারছে না কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার। এখন দলে টানতে মহিলাদের টাকার প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) বিরুদ্ধে। সংগঠন মজবুত করতে দেশজুড়ে বিজেপির সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আর সেখানেই অন্নপূর্ণা যোজনার টাকা পেতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানের টোপ দেন তিনি। এই নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
২৭ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বাংলাতে বিজেপির সদস্যপদ অভিযান শুরু হয়েছে। সোমবার, এই দলীয় কর্মসূচিতে কাটোয়ায় যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, “অন্নপূর্ণা যোজনার ৩০০০ টাকা পেতে গেলে পূরণ করতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টির ফর্ম।” ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সুকান্ত মজুমদারের ওই প্রস্তাব। (ভাইরাল ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘বিশ্ববাংলা সংবাদ’)।
দলের সদস্যপদ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumder)। সেখানেই ওই মন্তব্য করতে শোনা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। এই সদস্যপদ অভিযানকে আন্দোলনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন সুকান্ত। কর্মীদের কাছে তাঁর পরামর্শ, “মহিলাদের গিয়ে অন্নপূর্ণা যোজনার ৩০০০ টাকার কথা বলুন।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেন তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপিকে ভাল করে বুঝে গিয়েছে। কুৎসা করে বাংলা দখল করতে না পেরে এখন টাকার প্রলোভন দেখাচ্ছে। এসব করেও মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। ২৬ সালেও ওদের বাংলা দখলের স্বপ্ন পূরণ হবে না।”
২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্য় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছে তৃণমূল সরকার। এর পরে ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল ভোটে জয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সাফল্য বলে মনে করেন অনেকে। এর পরে অন্যান্য রাজ্য এমনকী বিজেপিশাসিত রাজ্যেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সুকান্তর এই টাকার টোপ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার মহিলাদের জন্য চালু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরেই এখন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল সদস্য টানতে টাকার টোপ দিচ্ছে তারা।