কলকাতা শহরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরই এবার গোটা রাজ্যে চালু হচ্ছে সেন্ট্রাল রেফেরাল সিস্টেম (Central Referral System)। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার দুই হাসপাতাল ও কলকাতার পাঁচ হাসপাতালে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে এই ব্যবস্থার। ৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যের সব হাসপাতাল চলে আসছে এই ব্যবস্থার আওতায়। কলকাতার পাঁচ হাসপাতালে শনিবার সম্পূর্ণ হল এই ব্যবস্থার প্রশিক্ষণও।
সেন্ট্রাল রেফেরাল সিস্টেমে মূলত দুতরফের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতালের বেড (hospital bed) সংক্রান্ত সব তথ্য, প্রতিটি ওয়ার্ডে পুরুষ মহিলা বেডের হিসাবে, তুলে ধরার প্রক্রিয়ায় সজাগ থাকতে হবে হাসপাতালগুলিকে। সেই সঙ্গে রেফারের কল (refer call) এলে তা গ্রহণ করে দ্রুত উত্তরের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। ফলে রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে প্রতি মুহূর্তে আপডেটেড (updated) থাকবে সরকারি হাসপাতালের বেডের সংখ্যা। সেই সঙ্গে প্রতিটি হাসপাতালে থাকছে ডিসপ্লে বোর্ড (display board)। যেখানে প্রতি নিয়ত বেডের সংখ্যা তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যেই আর জি কর, এন আর এস হাসপাতালে বসানো হয়েছে এই ডিসপ্লে বোর্ড।
৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যের যে কোনও হাসপাতাল থেকে দেখতে পাওয়া যাবে অন্য হাসপাতালগুলির খালি বেড। সেই মতো রেফার করতে পারবেন চিকিৎসকরা। একদিকে চিকিৎসার সুবিধার পাশাপাশি এবার রাজ্যে বাড়তে চলেছে হাসপাতালও। ইএসআই (ESI) স্কিমে রাজ্যে চার হাসপাতালের অনুমোদন দিল কেন্দ্র সরকার। উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দার্জিলিংয়ে তৈরি হবে অত্যাধুনিক এই হাসপাতাল (ESI Hospital)। প্রত্যেকটি হাসপাতাল হবে ১০০ বেড বিশিষ্ট। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের (Ministry of Labour) তরফে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব এসেছিল। তার প্রেক্ষিতে যাবতীয় বিষয়ে সমস্ত রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, দার্জিলিংয়ের মতো পাহাড়ি এলাকায় প্রস্তাবিত ইএসআই হাসপাতাল চালু হলে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন। পাশাপাশি দুই মেদিনীপুরে ও উত্তর ২৪ পরগনায় নয়া তিন ইএসআই হাসপাতাল নির্মাণ হয়ে গেলে দক্ষিণবঙ্গের রোগীরা পরিষেবা পাবেন। এই মুহূর্তে কলকাতার মানিকতলা ও জোকাতে ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে।