বাজারে কিংবা শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটা করার চল অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। নতুন প্রজন্মের একাংশ এখন মজেছে ঘরে বসে অনলাইন শপিংয়ে। পুজো হোক কিংবা বিয়েবাড়ি, ভিড়ভাট্টা ঠেলে, লাইনে দাঁড়িয়ে শপিং করার মানসিকতা এখন অনেকেই ত্যাগ করেছেন। সেইসব গ্রাহকের জন্য এবার নতুন উদ্যোগ।এবার ঘরে বসেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি বাঁকুড়ার বালুচরি, মুর্শিদাবাদ সিল্ক থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী তাঁরা কিনতে পারবেন। এর জন্য অনলাইন পোর্টাল চালু করতে চলেছে দফতর।
রাজ্যের গ্রামীণ শিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী এবার দেশ বিদেশের যে কোনও জায়গা থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। সৃষ্টিশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জনপ্রিয় হস্তশিল্প গুলির বিপণন, প্যাকেজিং ও বাজারজাত করণের নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য পেশাদার সংস্থার সহায়তায় নেওয়া হবে। পেশাদার সংস্থাকে দিয়েই ধনেখালি তাঁত এবং জামদানি-সহ বাংলার হস্ত শিল্পীদের তৈরি মোট সাত ধরনের হস্তশিল্প সামগ্রীকে নতুন মোড়কে বাজারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনলাইন বিপণন ছাড়াও দেশ-বিদেশের বড় বড় বিমানবন্দর এবং রেল স্টেশনে সৃষ্টিশ্রীর আউটলেট খোলা হবে। সেখানে এই সব পণ্যের প্রদর্শনী ও বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, হস্তশিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত রাজ্যের কয়েক লক্ষ মানুষ। বিশেষ করে মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এই সব শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের ঐতিহ্যকে দেশ বিদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে।
রাজ্যের ১৭টি জেলায় এই নামে স্টলও বসানো হয়। কিন্তু এবার দফতর চাইছে, এর পরিধি আরও বাড়ুক। তাই দূর দূর এলাকায় এইসব হাতের কাজ পৌঁছে দিতে অনলাইন পোর্টালকেই হাতিয়ার করা হয়েছে। যে জেলার যা বৈশিষ্ট্য, সেই অনুযায়ী সামগ্রী তৈরি করে এই পোর্টালে আপলোড করা থাকবে। গ্রাহকরা তার মধ্যে থেকে জিনিস পছন্দ করে অনলাইনে অর্ডার দিতে পারবেন। ক্যুরিয়ার সার্ভিস মাধ্যমে সেগুলি গ্রাহকদের বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে।