বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়েছেন বিশ্ব তাবড় নেতা। গান্ধীজি থেকে নেলসন ম্যান্ডেলা সব বর্ণ-সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের দাবিতে জীবনপণ করেছেন। কিন্তু এখনও গায়ের রং দিয়ে হয় বিচার। প্রশ্ন ওঠে সন্তানের গাত্রবর্ণ নিয়ে। এমনকী জল এতদূর গড়ায় যে, দম্পতি বাধ্য হলেন শিশুর ডিএনএ পরীক্ষা (DNA Test) করাতে।পরিবারে সন্তান এলে নবজাতকের সঙ্গে কার বেশি মিল তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে, তার আঁচ গড়াল ডিএনএ টেস্ট পর্যন্ত। এলেক্স ও রব সুখেই সংসার করছিলেন। এলেক্সের গায়ের রং কালো এবং তাঁর স্বামী রব ফর্সা। এই দম্পতির প্রথম তিনটি সন্তানের রং তাঁর মা এলেক্স মতো। সমস্যা শুরু চর্তুথ সন্তান জন্মানোর পর। কারণ, তাদের চতুর্থ কন্যার রঙ দুধের মতো ফর্সা। সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) সেই সন্তানের ছবি পোস্ট করতেই সেখানে কমেন্ট (Comment) করা হয় “তাঁর চতুর্থ সন্তান দত্তক নেওয়া।” আবার কেউ মন্তব্য করেন “এটি আপনার সন্তান নয়।” তবে অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের পোস্টে এও লিখেছিলেন যে, কন্যাটি তাঁর বাবার মতো হয়েছে তাতে সমস্যা কী? আবার কেউ লেখেন, “মা-বাবার ত্বকের রং আলাদা হতেই পারে, তাদের একজনের রং সন্তান পায়”। তবে, বিরূপ মন্তব্যে এতটাই প্রভাবিত হয়ে পড়েন যে ডিএনএ পরীক্ষা (DNA Test) করাতে দৌড়ন এলেক্স ও রব। ডিএনএ পরীক্ষা (DNA Test) ফল প্রকাশ পেতেই জল্পনার অবসান হয়। যাতে নিশ্চিত করা হয় এই সন্তান তাঁদেরই। তবে, এই একবিংশ শতাব্দীতেও একটি শিশু গাত্রবর্ণ নিয়ে এই কাটাছেঁড়ায় প্রশ্নের মুখে একশ্রেণির নেট নাগরিকের মানসিকতা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.