আশঙ্কা সত্যি করে এবার শহরের রাজপথ খালি করে ব্যাপক সংখ্যায় কমে যেতে চলেছে বেসরকারি বাস (private bus)। ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার খানেক বাস কমে গিয়েছে। তার পরিবর্তে নতুন বাস রাস্তায় নামাচ্ছেন না বাস মালিকরা। পুজোর পরে সেই সংখ্যাটা আরও বেড়ে শহরের রাস্তা থেকে উঠে যেতে চলেছে দুহাজার বাস। এই পরিস্থিতিতে বাস মালিকরা নতুন বাস না নামানোয় রাজপথে যাতায়াতের সমস্যার সম্মুখিন হতে চলেছেন সাধারণ মানুষ।
বিরাট সংখ্যায় বেসরকারি বাস (private bus) কার্যত শহরের লাইফ লাইনের (life line) কাজ করে এসেছে কয়েক দশক ধরে। তবে পুরোনো বাসের থেকে শহরে দূষণের (air pollution) মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পরিবেশকর্মীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) শহরে ১৫ বছরের পুরোনো বাস না চালানোর নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের জেরে ইতিমধ্যেই হাওড়া ও কলকাতায় কমে গিয়েছে প্রায় সাড়ে সাতশো বাস (private bus)। তালিকায় অপেক্ষা করছে আরও প্রায় আড়াই হাজার বাস।
বাস মালিকদের দাবি, তেলের দামের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে বাড়েনি বাসের ভাড়া। ফলে কার্যত ধুঁকছে বেসরকারি বাস মালিকরা। সেই সঙ্গে অন্যান্য পরিবহনের সুবিধা বাড়ায় কমেছে যাত্রীও। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে রাস্তায় নতুন বাস নামানো সম্ভব নয়। এখনও করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে পুজোর পরে শহরের রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে প্রায় দুহাজার বাস। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে সেই সংখ্য়াটা বেড়ে দাঁড়াবে আড়াই হাজার।