একেই বলে দুরন্ত কামব্যাক। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে বসুন্ধরা কিংসকে হারাল ৪-০ গোলে। আর এই জয়ের ফলে ৮ ম্যাচের পর জয়ের মুখ দেখল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল দিয়ামানতাকোস, শৌভিক চক্রবর্তী, নন্দ কুমার এবং আনোয়ার আলির। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় অস্কার ব্রুজোর দল। এই জয়ের ফলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল বসুন্ধরা কিংস ।
ম্যাচে এদিন প্রথম থেকেই দাপট দেখায় লাল-হলুদ। একেবারে শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এদিন প্রথম গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। নন্দর ক্রস থেকে বসুন্ধরার জালে বল জড়ান দিয়ামানতাকোস । এই গোলের সুবাদে নজির গড়েন দিয়ামানতাকোস। ‘এএফসি’ প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন তিনি। এরপর ফের আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় লাল-হলুদ। ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই আসে দ্বিতীয় গোল। এবার বক্সের ধার থেকে জোরাল শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপিয়ে দেন শৌভিক চক্রবর্তী। বসুন্ধরা সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই আঘাত হানেন নন্দ। ম্যাচের ২৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সে ঢুকে অনবদ্য গোলে ব্যবধান ৩-০ করেন তিনি। ম্যাচের শেষ গোলটি করেন ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দূর থেকে জোরাল শটে জালে বল জড়ান তিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে থাকে লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ প্রতি আক্রমণের লড়াই। বসুন্ধরা খানিকটা চেপে ধরলেও গোল করতে পারেনি। ইস্টবেঙ্গলও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষের বক্সে চাপ বজায় রেখেছিল। তবে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি অস্কার ব্রুজোর দল।
আরও পড়ুন- আইপিএল-এ একই দলে থাকলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাক্সওয়েলকে ব্লক করেছিলেন বিরাট , কিন্তু কেন?