মার্লিন গ্রুপ গত চার দশকের বেশি সময় ধরে রিয়েল এস্টেট জগতের সামনের সারিতে। সোমবার গ্রুপের কর্পোরেট ব্র্যান্ডকে নতুন করে সকলের সামনে তুলে ধরল। প্রকাশিত হল তাদের নতুন লোগো। এই নতুন লোগোর মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে অনেকগুলি বিষয়। সেগুলি হল, মার্লিন একটি দ্রুত বিকাশশীল সংস্থা। পণ্যের গুণমান রক্ষার ব্যাপারে সে কোনও আপোষ করে না। সে সৃজনশীল। ক্রেতার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য কোম্পানি সদাই চেষ্টা করে। এই গুণগুলির জন্যই মার্লিন বরাবর বিনিয়োগকারী ও বাড়ির ক্রেতাদের কাছে প্রথম পছন্দের কোম্পানি হয়ে এসেছে। কোম্পানির যে আধুনিক ব্রান্ডিং করা হয়েছে, তার মধ্যে নয়া লোগো বাদে আছে নতুন ওয়েবসাইট ও ডিজাইন সিস্টেম।
মার্লিন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাকেত মোহতা বলেন, আমাদের এই নতুন ব্র্যান্ড পরিচিতির মধ্যে দিয়ে বলা হয়েছে, রিয়েল এস্টেট শিল্পে আমাদের ব্যতিক্রমী ভাবনা আনার জন্য এবং ক্রেতাদের জীবনের মানোন্নয়নের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্লিনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ইট, প্রত্যেকটি ভিত্তি কেবল একটি ভবনের কাঠামোর অংশ নয়। বরং সেগুলি নতুন মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রতীক। এই মূল্যবোধের মধ্যে এক একটি জনগোষ্ঠী তথা পরিবার বেড়ে উঠবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তারা বয়ে নিয়ে যাবে এই মূল্যবোধ।
সাকেত মোহতা আরও বলেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গতে প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তৈরি করছি। আগামী পাঁচ বছরে কলকাতা ও ভারতের বিভিন্ন শহরে নানা বিলাসবহুল আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্পে নতুন বিনিয়োগের পরিকল্পনাও রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে পুনেতে তিনটি প্রকল্পের কাজ করছি এবং আরো চারটি নতুন প্রকল্পের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা করেছি। এছাড়া আমরা নভি মুম্বইতেও নতুন প্রকল্প আনতে চলেছি। আমরা প্রত্যেক প্রকল্পে পরিবেশবান্ধব নীতি অনুসরণ করি এবং গ্রিন বিল্ডিং স্ট্যান্ডার্ড মেনে নির্মাণ করে থাকি।
মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা বলেন, ১৯৯০ সালে কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং ধারণাটি যখন রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে একেবারেই নতুন ছিল, তখন মার্লিন গ্রুপ প্রথম ব্র্যান্ডিং করেছিল। আমরা ব্র্যান্ডেড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হিসাবে অগ্রণী ছিলাম। গত চার দশকে আমরা এই ব্র্যান্ডকে সম্মানজনক অবস্থানে এনেছি। কারণ আমাদের সংস্থা নির্মাণ এবং গ্রাহকদের সেবায় ধারাবাহিকতা এবং গ্রাহক ও অংশীদারদের সঙ্গে স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলে। নতুন নতুন নকশা তৈরি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আমরা অঙ্গীকার রক্ষা করেছি।