জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের (WBJDF) পাল্টা ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন (WBJDA) আত্মপ্রকাশ করতেই এতদিনের আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পিছনের কুৎসিত দিকটা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। এবার উঠে এলো দুবছরের পুরোনো একটি ঘটনা যেখানে বর্তমান আন্দোলনকারীদের মারে হাসপাতালে ভর্তি হন বেশ কিছু জুনিয়র চিকিৎসক। সেই সঙ্গে অভিযোগ, বর্তমান ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ তদন্ত কমিটি (enquiry committee) সেই সময়ের অভিযোগকারীদের অভিযোগ প্রত্যাহারেও চাপ দেয়।
সোমবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের (WBJDA) পক্ষ থেকে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তুলে ধরা হয় জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের উপর হামলার ঘটনা। ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) তুলে ধরে মারামারি ও তাতে অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তিও তুলে ধরে তারা। ২০২২ ,সালের এই ঘটনায় মহিলা পড়ুয়া ডাক্তারদের শ্লীলতাহানিরও (molestation) অভিযোগ ওঠে। মারধরে আহত ডাক্তারি পড়ুয়াদের আর জি করের এইচডিইউ (HDU)-তে ভর্তিও করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের হলে বর্তমান আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরাই অভিযোগ তুলতে থানাতেও হানা দেয়, বলে অভিযোগ করা হয় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।
জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের (WBJDA) অভিযোগ, বর্তমান আর জি করের (R G Kar Hospital) নিজস্ব তদন্ত কমিটি সেই সময়ের আক্রান্ত দুই মহিলা চিকিৎসককে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এমনকি এই সংগঠনের অভিযোগ, ফ্রন্টের অপছন্দের তালিকায় থাকা জুনিয়র চিকিৎসকদের কোনও অভিযোগই শোনেনি তদন্ত কমিটি।
তবে চিকিৎসকদের দুপক্ষের টানা পোড়েনে যে কোনওভাবেই শাসকদলের হাত নেই তা এদিন আবার স্পষ্ট করে দেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, ফ্রন্ট ও অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ভালো হওয়ার পথ বের করুক। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “ফ্রন্টের ভিতর থেকেও অভিযোগ আসছে যারা পুরোনো ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন, তাঁরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ধোয়া তুলসিপাতা সেজে বাকিদের উপর অভিযোগ করতে চাইছেন।”