বাংলা নিয়ে ভাবুন। কলকাতা তথা বাংলার অনেক এগিয়ে গিয়েছে। গর্ব করার মতো বিষয় রয়েছে। অযথা কুৎসা করবেন না। কলকাতার ৪টি কালীপুজোর (KaliPuja) উদ্বোধনে এই বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে তিনি বলেন, একজনের উৎসব যেন আরেক জনের দুঃখের কারণ না হয়। আলোর উৎসবে আগে এই বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, গিরিশ পার্ক, জানবাজার, শেক্সপিয়ার সরণি ও ভেনাস ক্লাবে কালীপুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন কালীপুজোর (KaliPuja) উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ বাংলা এগিয়ে গেছে। কলকাতা অনেক এগিয়ে গেছে। আমি বলব আমাকে বদনাম করতে গিয়ে বাংলাকে বদনাম করবেন না। বাংলা মাকে বদনাম করবেন না। স্বাধীনতা আন্দোলন বাংলা ছাড়া হত না। নব জাগরণ বাংলা ছাড়া হত না। শান্তিপ্রিয় জায়গা ছিল এই বাংলা। নেতাজি, রবিন্দ্রনাথ, গান্ধীজির প্রিয় জায়গা ছিল এই বাংলা। তাঁরাই আমাদের দিশা।“
জানবাজারে উদ্বোধনে রানি রাসমণির সাহসিকতার প্রসঙ্গ তুলে ইতিহাস তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, নাম না করে বিরোধীদের নিশান করে মমতা বলেন, “কেউ কেউ বাংলার বদনাম করছে। তাদের বলব বাংলাটাকে নিজের ভাবুন। আজও বাংলা যা পারে তা কেউ পারে না।“
গিরিশ পার্ক, জানবাজার থেকে শেক্সপিয়র সরণি সর্বজনীন ও পরে ভবানীপুর ভেনাস ক্লাব গিয়ে শ্যামাপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সচেতনতার বার্তাও দেন তিনি। বলেন, একজনের আলোর উৎসব যেন কোনও ভাবে অন্যের দুঃখের কারণ না হয়। সতর্কতার সঙ্গে পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানোর পরামর্শ দেন মমতা। শব্দদূষণের পাশাপাশি মানসিক দূষণ থেকেও বিরত থাকার বার্তা দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জাভেদ খান, মদন মিত্র, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, অতীন ঘোষ, কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।