‘ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’-এ ‘ডিজিট্যাল অ্যারেস্টে’! সম্বিত পেয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

0
3

ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India) – মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের অগ্রগতি বোঝাতে বিজেপি এই শব্দই বহুবার ব্যবহার করেছে। তবে এই ডিজিটালাইজেশন করার আগে এর কালো দিকগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি মোদি সরকারকে। আর তার ফল হিসাবে ইতিমধ্যেই একাধিক মানুষ এই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েছেন। এ জন্য সাইবার অপরাধের (cyber scam) জগতে নতুন শব্দ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে – ‘ডিজিট্যাল অ্যরেস্ট’ (Didgital Arrest)। দেশে বেড়েই চলেছে এই অপরাধের সংখ্যা। রবিবার মন কি বাতে নিজেই সেই কথা স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।

রবিবার, ২৭ অক্টোবর ‘মন কি বাত’-এর (Man Ki Baat) ১১৫ তম পর্বে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি “ডিজিটাল অ্যারেস্ট ফ্রড” নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি “ডিজিটাল অ্যারেস্ট ফ্রড” থেকে বাঁচতে নিরাপত্তার তিনটি ধাপের কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। “এই তিনটি পদক্ষেপ হল – ‘থামুন – চিন্তা করুন – পদক্ষেপ নিন’,” তিনি বলেছিলেন।

থামুন: “যখন আপনি একটি কল পাবেন, থামুন…- আতঙ্কিত হবেন না, শান্ত থাকুন, কোনো তাড়াহুড়া পদক্ষেপ নেবেন না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবেন না; সম্ভব হলে একটি স্ক্রিনশট নিন এবং রেকর্ড করুন।”

ভাবুন: “কোনও সরকারি সংস্থা আপনাকে ফোনে এভাবে হুমকি দেয় না। এই ধরনের ভিডিও কলে জিজ্ঞাসাবাদ বা টাকা দাবি করে না। আপনি যদি ভয় পান, তাহলে জেনে রাখুন কিছু ভুল হয়েছে।”

পদক্ষেপ নিন: “ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইন 1930 ডায়াল করুন, cybercrime.gov.in-এ রিপোর্ট করুন। এবার পরিবার এবং পুলিশকে জানান, প্রমাণ সংরক্ষণ করুন৷ ‘স্টপ’, তারপর ‘থিঙ্ক’ এবং তারপরে ‘অ্যাকশন’ নিন, এই তিনটি ধাপ আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তার রক্ষক হয়ে উঠবে।”

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে (Ahmedabad) সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তারির ভয় দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভিডিও কলে তাঁকে পোশাক খুলতে বাধ্য করে প্রতারকরা। এই ধরনের ঘটনা নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বাড়ছে উদ্বেগ। তবে কোটি কোটি মানুষ ডিজিটাল ধোঁকার শিকার হয়ে কোটি কোটি টাকা হারানোর পরে সজাগ হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। এতদিনে গোটা দেশের জন্য টোল ফ্রি নম্বর প্রকাশের সময় পেলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন ১৯৩০ – এই টোল ফ্রি নম্বরে সাইবার অপরাধ নথিভুক্ত করার বার্তাও দেন তিনি।