হঠাৎই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নজর বাংলার পেট্রাপোল স্থলবন্দরের (land port) দিকে। তবে এই সীমান্ত দিয়ে বৈদেশিক বাণিজ্যের পথ সহজ করেছে রাজ্য সরকারের ‘সুবিধা’ প্রকল্প। বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank)থেকে ২০২৩ সালেই এর স্বীকৃতি পেয়েছে রাজ্য সরকার। রবিবার অমিত শাহের সফর নিয়ে বিজেপির অত্যুক্তির দিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
রাজ্য সরকার ‘সুবিধা’ প্রকল্পের মাধ্যমে পেট্রাপোল সীমান্তে মালবাহী গাড়ির পরিবহন পরিষেবা দেয়। সহজ হয়েছে সীমান্ত বাণিজ্য। সেই সঙ্গে ‘যাত্রী সুবিধা’ প্রকল্পে সাধারণ মানুষের লম্বা লাইনও এখন অতীত। ২০২৩ সালে এই প্রকল্প দেখে বিশ্বব্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল ইনটিগ্রেশন অ্যান্ড এনগেজমেন্ট বিভাগের ডিরেক্টর সিসেল ফ্রুম্যান এই প্রকল্পকে ভারতের অন্য সব স্থলবন্দরে তো বটেই, বিশ্বে প্রয়োগের প্রস্তাব করেছিলেন।
রবিবার বনগাঁয় স্থলবন্দর নিয়ে অমিত শাহের ‘বিরাট আয়োজন’ এর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “যেহেতু পেট্রাপোল স্থলবন্দর নিয়ে কিছু উত্তেজনা চলছে, সেখানে আসল সত্য হল: বাংলার রাজ্য সরকারের সুবিধা ভেহিকল ফেসিলিটেশন সিস্টেম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বাণিজ্যে পরিবহন সহজ করেছে ৪৫ দিনের দেরিকে শূন্যে নামিয়ে এনে, যা ৮ লক্ষ গাড়িকে সুবিধা দিয়েছে।”
এই প্রকল্পের স্বীকৃতি নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ভারত সরকারের ই-গভার্নেন্সের সেরার স্বীকৃতি ও বিশ্বব্যাঙ্ক ও তাদের স্টেক হোল্ডারের দ্বারা প্রশংসিত বাংলার প্রশাসনের এই প্রকল্পই দুই দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রকৃত গেম চেঞ্জারের কাজ করেছে।”
শুধুমাত্র গাড়ি নয়, সাধারণ মানুষের পরিবহনেও কীভাবে রাজ্য সরকারের প্রকল্প ভূমিকা নিয়েছে, তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেন, “পেট্রাপোলের যাত্রী টার্মিনালে যাত্রী সুবিধা উদ্যোগ প্রায় ১ লক্ষ পর্যটকের যাতায়াত সহজ করেছে, যাতে তাঁদের লম্বা লাইনের সমস্যার সমাধান হয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা দিয়েছে।”