বড়সড় সাফল্য! হুগলি গ্রামীণ পুলিশের হাতে আটক আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের

0
2

আন্তজাতিক নারীপাচার চক্রের হদিস হুগলি জেলা পুলিশের। তারকেশ্বর থানা এলাকা থেকে অপহৃত এক নাবালিকাকে উদ্ধার করতে গিয়ে এই নারীপাচার চক্রের হদিশ পায় পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে কলকাতা, অশোকনগর ও বিহার থেকে তিন অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম মিজানুর ওরফে রাহুল, শ্রীরাম রায় ও নন্দকিশোর কুমার।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,গত জুলাই মাসের ১৩ তারিখে তারকেশ্বর এলাকারই এক ১৭ বছরের নাবালিকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের ফাঁদ পেতে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের হয় তারকেশ্বর থানায়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আন্তজার্তিক নারীপাচার চক্রের কবলে পড়েছে ওই নাবালিকা। নারীপাচার গ্যাংটিকে পাকড়াও করতে তারপরেই ফাঁদ পাতে তারকেশ্বর পুলিশ। সেই ফাঁদে ধরা পড়ে অভিযুক্ত মিজানুর ওরফে রাহুল ও তার সাগরেদ শ্রীরাম। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমের টোপ দিয়ে নাবালিকা মহিলাদের অপহরন করার দ্বায়িত্ব ছিল তাদের উপর। সেইমতো তারকেশ্বরের ওই নাবালিকাকেও ভুলিয়ে অপহরন করে বিহারের চম্পারন এলাকায় পাচার করে নন্দকিশোর কুমারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ বিহারের যায় ও চম্পারন থেকে নন্দকিশোর কুমারকে গ্রেফতার করে। ওই এলাকায় তার একটি স্থানীয় নাচের দল ছিল যা গোপনে সেক্স র‍্যাকেটে চালাত। অবশেষে পুলিশ গত জুলাই মাসের ১৯ তারিখে সেখান থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। শুধু তাই নয়, নারী পাচারের জন্য ও পুলিশ থেকে বাঁচতে ধৃতরা প্রায়ই নেপালে আশ্রয় নিত বলেও পুলিশসুত্রে দাবী। পুলিশ মনে করছে, সুযোগ পেলে ওই নাবালিকাকেও নেপালে পাচারের মতলব করছিল ধৃতরা। এই নারীপাচার চক্র আরও কতদূর বিস্তীর্ণ তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে মহামান্য আদালত।

আরও পড়ুন- ‘ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া’-এ ‘ডিজিট্যাল অ্যারেস্টে’! সম্বিত পেয়ে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর