রাজ্য পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা ৩১ টি সেতু ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত করে রাজ্য সরকারের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে। এছাড়াও পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা মোট ২০ ৮৯ টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ১৮২টিকে অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে অতিবৃষ্টি এবং ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সঙ্গে সম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে দুর্যোগের কারণে সেতুগুলি আরো একবার সমীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে বলে পূর্ত দফতরের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের সর্বত্র সেতুগুলির কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করেছিল পূর্ত দফতর। সম্প্রতি এই সমীক্ষার প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে দফতরের পদস্থ কর্তাদের কাছে। রাজ্যের জেলায় জেলায় পূর্ত দফতরের রক্ষণাবেক্ষণে থাকা মোট ২০৮৯টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৩১টি সেতুকে ‘ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি ১৮২টি সেতুকে ‘অল্প ক্ষতিগ্রস্ত’ বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই সেতুগুলির সংস্কারের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা ফের একবার পরিদর্শনের পরেই চূড়ান্ত হবে বলেই সূত্রের খবর। পদস্থ কর্তারা খতিয়ে দেখবেন কোন সেতুতে কী ধরনের সমস্যা রয়েছে, ভারবহন ক্ষমতা কেমন রয়েছে ইত্যাদি। পুনরায় যাচাই করার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা পড়ার কথা ছিল। গত ২৩ অক্টোবর রাজ্যের পূর্ত মন্ত্রী পুলক রায়ের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় নবান্নে। পুজোর আগে জমা পড়া এই রিপোর্ট নিয়ে আগেই দফতরের আধিকারিকরা প্রাথমিক আলোচনা করেছিলেন। ২৩ অক্টোবরের বৈঠকে ৩১টি ‘ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ সেতুর পুনরায় সমীক্ষার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করাহয়।
আরও পড়ুন- পেট্রাপোলে পরিবহন রাজ্যের কৃতিত্ব: বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য তুলে বিজেপির ‘ভুল’ ভাঙালেন মুখ্যমন্ত্রী




































































































































