বিরোধীদের কণ্ঠরোধে বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এগিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার দেশের শীর্ষ আদালতে বাংলার শাসকদলের সেই দাবিরই প্রতিফলন। ইচ্ছামতো শমন দেওয়া ও গ্রেফতারির ক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার নিয়ে কার্যত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ED) ধুয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ছত্তিশগড়ের আইএএস (IAS) আধিকারিককে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের জেরে ক্ষুব্ধ সর্বোচ্চ আদালত। যে পদ্ধতিতে তাঁকে শমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতির দাবি, তাঁরা দিনের শেষে একজন মানুষ। তাঁরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন কীভাবে পিএমএলএ (PMLA)-র প্রয়োগ হচ্ছে।
আদালত প্রশ্ন তোলে এসিবি (Anti Corruption Branch) অফিসে থাকাকালীন শমন পাঠানো হয় আইএএস আধিকারিক অনিল তুতেজাকে। প্রথমে বেলা ১২টায় শমন (summon) পাঠানো হয়। আবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ফের শমন পাঠানো হয়। তারপরে সারারাত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি-র এত কীসের তাড়াহুড়ো ছিল, প্রশ্ন তোলে আদালত। সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের ক্ষেত্রেও এত দ্রুততা দেখানো হয় না বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।
কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিচারপতি সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার (Article 21) কথা স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি। জিজ্ঞাসাবাদের আগেই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। এই আচরণ কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। শুক্রবারের মধ্যে গোটা বিষয়ের এফিডেভিট তলব করেছে সর্বোচ্চ আদালত। অন্যথায় ইডি-র উপর পদক্ষেপ নেওয়ারও ইঙ্গিত দেন বিচারপতি।