লোকসভা নির্বাচনের অব্যবহিত আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ ছেড়ে সোজা বিজেপিতে যোগ। তারপর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একেবার সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তাঁর এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি আর গভাই। বিচারপতির দাবি, বিচারকের আসন থেকে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করা যায় না। সেখানে রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটে লড়াই করা বিচারকের ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদান ও সাংসদ হয়ে যাওয়া নিয়ে বাংলার শাসকদল বরাবর তাঁর বিচারপতি হিসাবে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এবার সেই একই প্রতিধ্বনি শীর্ষ আদালতের অন্যতম বিচারপতি বি আর গভাইয়ের মুখে। গুজরাটের আহমেদাবাদে একটি কনফারেন্সে যোগ দিয়ে বিচারপতি গভাই বলেন, “যদি কোনও বিচারক সৌজন্যের খাতিরেও কোনও রাজনীতিক বা প্রশাসনিক আধিকারিকের প্রশংসা করেন তবে তার প্রভাব সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থার উপর বিশ্বাসে পড়ে।”
সামগ্রিকভাবে বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থাকে আইন ও প্রশাসন উভয়ের থেকেই পৃথক থাকতে হবে। বিচার ব্যবস্থার স্বাতন্ত্রের উপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, আইনের লম্বা হাত বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতার চিন্তাধারাকেই লঘু করে দেয়।”
এই প্রসঙ্গেই নাম না করে যে উদাহরণ দেন বিচারপতি গভাই তা কার্যত মিলে যায় সাংসদ অভিজিতের (Abhijit Ganguly) সঙ্গে। তিনি বলেন, “যদি কোনও বিচারক তাঁর পদ থেকে অব্যহতি দেওয়ার একেবারে পরেই কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনের (election) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তা তাঁর নিরপেক্ষতার উপর জনমানসে প্রভাব ফেলে।” তিনি নিজের অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, বাইরের জগতে একজন বিচারকের কাজকর্মও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা তাঁর বিচারক সত্ত্বার সঙ্গে মানানসই হওয়া প্রয়োজন।