ঘটনার রাতের এক ঘণ্টায় লুকিয়ে কৃষ্ণনগরের তরুণীর মৃত্যু রহস্য!

0
1

কৃষ্ণনগরের ছাত্রী মৃত্যুর (Krishnanagar Minor Girl Death Case) তদন্তে নয়া রহস্য!লক্ষ্মীপুজোর আগের রাতে ঘড়ি ১০টা ১২ মিনিট থেকে ১১টা ১২ মিনিট পর্যন্ত ঠিক কী হয়েছিল, এখন সেটাই জানতে মরিয়া তদন্তকারী অফিসাররা। যে স্থান থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর নাবালিকার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় শনিবার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা সেই জায়গা খুঁটিয়ে দেখেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তি থাকার কারণে প্লেস অফ অকারেন্ট ভিজিট (Place of occurrence visit) koren চিকিৎসকেরা। ঘণ্টাখানেকের কার্যাবলী এবং খান চারেক প্রশ্ন নিয়ে চিন্তায় তদন্তকারীরা।

কৃষ্ণনগরের ছাত্রীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে শুরু থেকেই ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্তকারী সূত্র দাবি করছে ঘটনাস্থলে কেরোসিন জাতীয় তরল রাখার বোতল এবং দেশলাই পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলছে জীবিত অবস্থায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যদি তাই হবে তাহলে সে ক্ষেত্রে শ্বাস চলাকালীন আগুন লাগার বা লাগানোর ঘটনা হলে বাঁচার জন্য যে আর্তনাদ বা ছটফটানি হওয়া প্রয়োজন তার নমুনা ঘটনাস্থলে নেই। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে আত্মহত্যার দাবিও সন্দেহ বাড়িয়ে তুলছে। এখন প্রশ্ন, তরুণীকে ঘটনার দিন কলেজ মাঠে অন্য একজনের সঙ্গে দেখা যায় বলে যে খবর মিলেছে, তাহলে তিনি সেখানে কীভাবে গিয়েছিলেন? মৃতার সঙ্গে ধৃত যুবকের সম্পর্কের মাঝে তৃতীয় মানুষের আসার কারণেই কি ঝামেলার সূত্রপাত? ঘটনার দিন তরুণী একাধিকবার অভিযুক্ত যুবককে কেন ফোন করেছিলেন? প্রেমিক বলছেন, তাঁর সঙ্গে প্রেমিকার দেখা হয়নি কিন্তু মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন অন্য ইঙ্গিত কেন দিচ্ছে? আর এই সবকটা প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে গত মঙ্গলবার রাত ১০টা ১২ মিনিট থেকে ১১ টা ১২ মিনিট পর্যন্ত কি কি হয়েছিল এই সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ছবি উঠে আসা দরকার।তরুণীর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যাচ্ছে, সেই রাতে পৌনে আটটা থেকে বেশ কিছু ক্ষণ কলেজ চত্বর থেকে কালেক্টর অফিস হয়ে ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত তিনি গিয়‌েছিলেন। সেই সময় প্রায় এক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি কল অভিযুক্তের ফোনে গেছে। কিন্তু, ধৃত রাহুল জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে একবারই কথা হয়েছিল। কেন আর কী গোপন করতে চাইছেন অভিযুক্ত? একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে ব্যস্ত তদন্তকারী অফিসাররা।