আসন্ন উপনির্বাচনের ছয় কেন্দ্রের প্রার্থীরা নাম একসঙ্গেই ঘোষণা করল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। স্থানীয় নেতাকর্মীদের উপরই আস্থা রাখা হল প্রার্থী তালিকায়। সেই সঙ্গে উপনির্বাচনে বিজেপির হাত থেকে মাদারিহাট আসন ছিনিয়ে নেওয়ারও দাবি জানালেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা
সিতাই – সঙ্গীতা রায়
মাদারিহাট – জয় প্রকাশ টোপ্পো
তালডাংরা – ফাল্গুনি সিংহবাবু
মেদিনীপুর – সুজয় হাজরা
হাড়োয়া – শেখ রবিউল ইসলাম
নৈহাটি – সনৎ দে
কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া। কোচবিহার লোকসভা নির্বাচনে জগদীশ বর্মা বসুনিয়া জয়ী হওয়ার পরই তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা রায় বসুনিয়াকে বিধানসভার প্রার্থী করার জল্পনা চলছিল। প্রার্থী তালিকায় সেই জল্পনার প্রতিফলন। মেদিনীপুরের প্রার্থী হয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা। অন্যদিকে সদ্যপ্রয়াত বসিরহাট সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের পুত্র রবিউল ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে হাড়োয়া কেন্দ্রে। বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের ব্লক সভাপতি ফাল্গুনি সিংহবাবুকে তালডাংরার প্রার্থী করা হয়েছে। নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সনৎ দে-কে প্রার্থী করা হয়েছে নৈহাটি বিধানসভায়। শনিবার প্রার্থী তালিকা ছয় কেন্দ্রের জন্যই প্রকাশ করেছিল বিজেপি। সেখানে দেখা গিয়েছে বহিরাগত ও অবাঙালি প্রার্থী দিয়ে তালিকা ভরেছে বিজেপি।
ছয় কেন্দ্রের মধ্যে মাদারিহাট তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। মাদারিহাট ছাড়া বাকি পাঁচটি কেন্দ্র রয়েছে শাসকদলেরই দখলে। এবার মাদারিহাট দখলের লক্ষ্যে বীরপাড়া ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি জয়প্রকাশ টোপ্পোকে প্রার্থী করা হয়েছে। মাদারিহাট জয়ের ব্যাপারে চা বাগানের উন্নয়নকেই সামনে রাখছে তৃণমূল। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের দাবি, “মাদারিহাট আমরা জিতব। আগে চাবাগনগুলো দীর্ঘ বাম জমানায় যে খারাপ অবস্থা ছিল, সিটুর জমানায় শোষণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি মিথ্য়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চা শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। সেই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার, প্রশাসন ও আইএনটিটিইউসি যেভাবে কাজ করেছে এবং চা শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে দেখেছে, মাদারিহাট নিশ্চিতভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবার জিততে চলেছে।”