এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্য।এপারে ভারত ওপারে পাকিস্তান (Pakistan), আর মাঝখানে সীমান্তের কাঁটাতার। তবে ডিজিটাল যুগে প্রেমে কাঁটা হতে পারল না কাঁটাতার। এমনিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকলেও ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে বিয়ে নতুন কিছু নয়। তবে আসল বিষয় হল কাঁটাতার পার না করেই বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হল তাঁরা। কীভাবে? অনলাইনে। হ্যাঁ অনলাইনে ‘নিকাহ’ (Married) সারলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজেপি নেতার ছেলে আব্বাস এবং লাহোরের বাসিন্দা অন্দলীপ। ইমামবাড়ায় উপস্থিত ছিলেন বরযাত্রীরা। আমন্ত্রিত ছিলেন বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতাও। অন্য দিকে, লাহোর থেকে উপস্থিত ছিল কনেপক্ষও।
ওই বিজেপি নেতার (Bjp Leader) নাম তাহসিন শাহিদ। তিনি এখন কাউন্সিলর। এক বছর আগে বড় ছেলে মহম্মদ আব্বাসের সঙ্গে তাঁর পাকিস্তানি আত্মীয় আন্দালিপ জাহরার বিয়ে ঠিক করেছিলেন। অন্দলীপ তার এক আত্মীয়ের মেয়ে। পরিবারসহ থাকেন লাহোর শহরে। এদিকে বিয়ের তারিখ এগিয়ে আসলেও গত বছর আবেদন করা সত্ত্বেও মেলেনি ভিসা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পাত্রীর মা ইয়াসমিন জাইদির স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করান হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা তাহসিন শাহিদ ঠিক করেন অনলাইনে বিয়ে সম্পন্ন করবে তাঁর ছেলের। সেইমতো অবশেষে শুক্রবার রাতে তাহসিন নিজের ছেলের বিয়ের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ইমামবাড়া কাল্লু মারহুমে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিশাল বড় টিভি পর্দার আয়োজন করা হয়। এরপর অনলাইন মারফতে সকলের সামনেই নিকাহ সম্পন্ন হয় তাদের।
এই অনলাইনে ‘নিকাহ’ নিয়ে শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু মৌলানা মেহফুজুল হাসান খান জানান,” ইসলাম ধর্মের ‘নিকাহে’ পাত্রীর সম্মতি অগ্রগণ্য। মৌলানার মাধ্যমে তাঁকে কথাবার্তা বলতে হয়। তাই অনলাইনে ‘নিকাহ’ অসম্ভব কোনও ব্যাপার নয়। দুই তরফে মৌলনা উপস্থিত থেকে শুভ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে থাকেন। 
এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।” আর এদিন বিয়ের পর হায়দর বলেন “এ বার ভারতীয় ভিসা পেতে খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না স্ত্রীকে। যাতে তাড়াতাড়ি তাঁর কাছে আসতে পারেন অন্দলীপ, সে ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন।”












 
 
 
 


























































































































