এ যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতা! এক যুবকের সাথে মসকরা করার এমন শাস্তি পেল পাঁচ বছর বয়সী বালক, হতবাক সকলেই। হাত-পা বেঁধে তাকে বসিয়ে দেওয়া হল পিঁপড়ের (ant) চাকে। দীর্ঘক্ষণ ওই অবস্থায় থাকায় বালকটির সারা গায়ে কামড়ে ফুলিয়ে দিয়েছে পিঁপড়ে ৷ অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙা গ্রামে। ইতিমধ্যে যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার।

বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে থেকেই ওই এলাকার বাসিন্দা জাহিদ আলি ধাবক-এর পাঁচ বছরের নাবালক পুত্রের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না (Missing)। মা রোজিনা বিবি ও বাবা জসিদ সেই সময় বাড়ি ছিলেন না। তাঁরা ফিরে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আশেপাশে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তারা যখন তাকে একটি খেলার মাঠে খোঁজ করার সময় দেখেন পথেই একটি নির্জন জায়গায় তাঁদের ছেলেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি পিঁপড়ের চাকের উপর ফেলে রাখা হয়েছে। সেই নাবালকের কথা অনুযায়ী, তাঁর প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে ইয়ার্কি মারার ‘অপরাধে’ তাকে এই শাস্তি পেতে হয়েছে।

উদ্ধারের পর দেখা যায় পিঁপড়ের কামড়ে ছেলেটির শরীরের নানা জায়গা ফুলে উঠেছে। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, বালকটির মাকে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ৷ শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত এলাকায় প্রভাবশালী ৷ এমনকী বালকটিকে ঘটনার কথা কাউকে না জানাতে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় তাঁরা।
পিঁপড়ের কামড়ের বিষক্রিয়ায় বালকটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Santipur State General Hospital) ভর্তি করা হয়। সেখানে সে আপাতত চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ (Santipur Police Station)।








































































































































