স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো যাবে না: বাকি দাবিপূরণে ৪ মাস সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী

0
1

“অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন।” আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) সঙ্গে ফোনে এই আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মতো স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো যাবে না। তবে, বাকি দাবি পূরণে ৩-৪মাস সময় চেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী।

শনিবার বেলা দুটোর আগেই ধর্মতলার জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) অনশন মঞ্চে যান মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Panth), স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী মুখোপাধ্যায়, ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যসচিবের ফোন থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন। অনশনের পথ থেকে সরে আসার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার। আগেরবার ৫টা দাবির মধ্যে ৪টি মেনে নিয়েছি। স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো যায়নি। একটি দফতর থেকে সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দিলে দফতরটা চলতে পারে না। সরকারেরও কিছু ব্যাপার আছে।”একইসঙ্গে দাবিপূরণের জন্য ৩-৪ মাস সময় চেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার আগে আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই পরেরবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন হোক। কালীপুজো, দীপাবলি, উপনির্বাচন আছে। আমি কথা দিচ্ছি, ৩-৪ মাস সময় দিন। আপনাদের সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই দেখে নেব।” এর পরই অভিভাবিকার মতো তিনি বলেন, “আপনাদেরও পরীক্ষা আছে। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আন্দোলন থেকে সরে আসুন। আদালতে মামলা চলছে। সুবিচার মিলবে।”

অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি আপনাদের শুভকামনা করছি। সাধ্যমতো যতটা পারব, সহযোগিতা করব।” ফোনে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছ থেকে দশ দফা দাবি শুনতে চান তিনি। আট দফা দাবি শোনান আন্দোলনরা। দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচার, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, রেফারেল ব্যবস্থা, ফাঁকা বেডের খতিয়ান, হাসপাতাল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে আপত্তি, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মতো আট দফা দাবির কথা উল্লেখ করেন জুনিয়র ডাক্তররা। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৩-৪ মাস সময় চেয়ে নেন মমতা। তিনি জানান, প্যানিক বাটন, সিসিটিভি-সহ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে। তবে আন্দোলনকারীদের মূল দাবি স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে অপসারণ করা যে সম্ভব নয়, তা পরিষ্কার জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনও অভিযোগ থাকলে, খতিয়ে দেখে তবেই ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।