চতুর্থবারের জন্য মা মাটি মানুষের সরকার তৈরি হবে, নন্দীগ্রামে হুংকার কুনালের

0
3

একদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অপশাসন ও পক্ষপাতিত্ব। অন্যদিকে রাজ্যের মানুষের পাশে থাকতে তৃণমূল সরকারের একের পর এক জনমুখী প্রকল্প। কুৎসাকারীদের পরাস্ত করে এই দুই অস্ত্রকে কাজে লাগিয়েই বাংলায় চতুর্থ তৃণমূল সরকারের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা হতেও সময় লাগবে না বলে দাবি প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের। রাজ্যের সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিচুতলার কর্মীদের পরিশ্রম ও আত্মসমালোচনার পথে কীভাবে চলতে হবে, নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজয়া সম্মেলনী থেকে তারই বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

কেন্দ্রের মোদি সরকারের বঞ্চনাই মানুষের চোখে স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপির কুৎসা ও টাকা দিয়ে কেনার রাজনীতি, দাবি করে কুণাল শনিবার বলেন, “২০২১ সালে গেলগেল রব উঠেছিল। অনেকে আবার চার্টার্ড ফ্লাইটে (chartered flight) করে দিল্লি গেল। তখন আমি নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে যে কথা বলে গেছিলাম সেই কথা আমি আবার বলছি। আপনি আমি যদি ঠিক থাকি চতুর্থবারের জন্য মা মাটি মানুষের সরকার তৈরি হবে। বিজেপি বাংলার কোটি কোটি টাকা আটকে রেখেছে। কিন্তু বিজেপির যেসব নেতারা ভোটের সময় বাংলায় উদয় হয়, তারা দিল্লিতে গিয়ে একবারও বলছে না বাংলার টাকাটা দাও। ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স বাংলা থেকে দিল্লি নিয়ে গেছে। কিন্তু দিল্লি থেকে বাংলার যেটা পাওয়ার কথা সেটা দিচ্ছে না।”

বাংলার মানুষ বঞ্চনার জবাব একবার লোকসভার ভোটবাক্সে দিয়েছেন। ফের বিধানসভা নির্বাচনেও তারই প্রতিফলন হবে বলেই প্রত্যয়ী কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে নন্দীগ্রাম ১-ব্লকের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি। গোটা নন্দীগ্রামের মধ্যে ব্যতিক্রমী এই ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীতে অংশ নেন তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। সেখানেই কৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “নন্দীগ্রাম- ১ থেকে তৃণমূল লিড (lead) পেয়েছে। এখানকার টিম ভালো কাজ করেছে এবং নন্দীগ্রামের সাথে আমার প্রায় যাতায়াত থাকে। তাই দলের নির্দেশে নন্দীগ্রাম থেকে বিজয়া সম্মিলনী শুরু করলাম। আমি কর্মীদের বলবো আগামী দিনের সংগঠনকে আরো চাঙ্গা করতে হবে।”

রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে প্রত্যয়ী কুণাল নন্দীগ্রামের আসন নিয়ে অগ্রীম পরামর্শ দেন স্থানীয় নেতৃত্বকে। যে ফলাফল নন্দীগ্রাম ১-ব্লক (Nandigram Block-I) দেখিয়েছে, তার প্রতিফলন কীভাবে সর্বত্র হবে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই জেলাকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে নেতাকর্মীদের মধ্যে আত্মসমালোচনা দরকার। প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করব এবং তার পাশাপাশি আমরা নিজেরা নিজেদের ঘরটাকেও সামলাবো।”