এবার মামলার খরচ চালাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সন্দীপ ঘোষ। ব্যাঙ্কে তার রয়েছে ফিক্সড ডিপোজিট। আর এবার তা ভাঙাতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন তিনি।আগামিকাল এই মামলা বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক শুনতে পারেন। আবেদনে সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, পারিবারিক খরচ–সহ একাধিক খরচ সামাল দিতে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হবে।
আসলে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। মামলা চালাতে খরচও হচ্ছে তার। এই অবস্থায় এখন ঘরে রীতিমতো টানাটানি।ব্যাঙ্কে রাখা ফিক্সড ডিপোজিট যাতে ছোঁয়া যায় তার জন্যই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপরই সামনে আসে আর্থিক দুর্নীতি। হাসপাতালের একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। আরজি কর হাসপাতালের বর্জ্য পাচার থেকে শুরু করে দেহ পাচারের মতো অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তারপর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে গ্রেফতার করে তাকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে জেরা করে ইডি। তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান তদন্তকারীরা। কিন্তু সেগুলি নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। তাই ঘরেতে টানাটানি দেখা দিয়েছে।
আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, পারিবারিক খরচ এবং মামলা–সহ একাধিক খরচ সামাল দিতে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে হবে। অথচ ক্যানিং–২ ব্লকের নারায়ণপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় সন্দীপ ঘোষের একটি বাংলো বাড়ির হদিশ পায় ইডি। তারপর নিউটাউনের অন্তর্গত হাতিয়ারায় নোয়াপাড়ায় সন্দীপ ঘোষের একটি তিনতলা বাড়ির সন্ধান মেলে। বেলেঘাটায় দুটি ফ্ল্যাটের সন্ধানও পান তদন্তকারীরা।প্রথমে আরজি কর হাসপাতালের মূল মামলায় গ্রেফতার না হলেও আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। পরে অবশ্য আরজি কর হাসপাতালের মূল মামলা অর্থাৎ ধর্ষণ–খুনের ক্ষেত্রে তার অঙ্গুলিহেলন আছে অভিযোগ তুলে গ্রেফতার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে।তিনি জেল বন্দি থাকায় তাঁর সই পাচ্ছে না ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ তাই ২০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট থাকলেও তা ভাঙানো সম্ভব হচ্ছে না৷ প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ৷