রীতি মেনে মন্ত্রী শোভনদেবের বাড়িতে স্ত্রী সুপ্রিয়ার শুরু করা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো

0
3

মৌসুমী বসাক

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Shobhandev Chatterjee) স্ত্রী সুপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায় (Supriya Chatterjee) ছিলেন একজন আদ্যোপান্ত ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী তথা শাসকদলের প্রথমসারির নেতা এপার বাংলার লোক হওয়ায় তাঁদের বাড়িতে কালীপুজোয় হয় দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো (Lakhsmi Pujo)। তবে, শ্বশুরমশাইয়ের কাছে আবদার করে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী সুপ্রিয়া পূর্ববঙ্গের মতে শ্বশুরবাড়িতেই শুরু করেছিলেন কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। সেই ট্র্যাডিশন আজও বহাল।


১৯৭৪ সালে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর শ্বশুর মশায়ের কাছে কোজাগরি লক্ষ্মী পুজো শুরু করার আবদার করেন সুপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়। পুত্রবধূর আবদার ফেলতে পারেননি শ্বশুরমশাই। সেই থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Shobhandev Chatterjee) বাড়িতে শুরু হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এরপর ছেলেকে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে পুত্রবধূ এনেছেন সুপ্রিয়া। তার পরে অকালে প্রয়াত হন শোভনদেবের স্ত্রী। এখন সেই ধারা বজায় রেখেছেন তাঁর ছেলের বউ রাজশ্রী চট্টোপাধ্যায়।

এদিন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, সাতের দশক থেকে এই পুজো হয়ে আসছে। আমার স্ত্রী যেমনভাবে পুজো শুরু করেছিল ঠিক সেই নিয়ম পালন করে এখন আমার পুত্রবধূ পুজো চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্ববঙ্গে মতে, নাড়ু-মোয়া ভোগ দেওয়া হয় ধনদেবীকে। কালীপুজোর সময় যে লক্ষ্মীপুজো হয় তা আমাদের পৈতৃক ভিটেতে আজও হয়।

অপরদিকে মন্ত্রীর পুত্রবধূ জানান, শাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে পুজোর অনেক রীতিনীতি শিখেছি। সেই নিয়ম অনুযায়ী আজও পুজো করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমার মেয়েকেও এই নিয়মকানুন শিখিয়েছি। চাইব আগামী দিনে ও এই পুজোর ধারা বজায় রাখুক।