সারদাকাণ্ডে অভিজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে সিজিও-তে কুণাল

0
1

সারদাকাণ্ডে প্রথম থেকেই তদন্তে সহায়তা করে আসছে তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এই মামলার তদন্তের সহযোগিতায় ফের CBI দফতরে গিয়ে চিঠি দিলেন তিনি। এক্ষেত্রে বাম সমর্থক ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু তথ্য লিখিত আকারে দিয়ে আসেন কুণাল (Kunal Ghosh)।
CBI-কে পাঠানো চিঠি স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। সেখানে তিনি লেখেন,
“প্রথম দিন থেকেই আমি তদন্তে সহযোগিতা করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, যাতে সংশ্লিষ্ট সকল ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগীদের শাস্তি হয়।
এখন পর্যন্ত আমি মনে করি যে নতুন তথ্যগুলি জানানো আমার কর্তব্য। আমি আপনাদের তদন্তে সহযোগিতা করেছি, এমনকী মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদেও অংশ নিয়েছি।
এখন আরও কিছু বিষয় তদন্ত করা দরকার বলে আপনাকে জানাতে চাই।
১. আমি সারদা গ্রুপে চাকরি নেওয়ার আগে বিশিষ্ট প্রভাবশালী লিভার ফাউন্ডেশনের ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী সারদা গ্রুপের মালিক সুদীপ্ত সেনকে চিনতেন কি না।
২. এই ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরীই কি তৎকালীন ক্ষমতাসীন সিপিএম এবং বামফ্রন্টের সরকারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন? সিপিএমের অত্যন্ত প্রভাবশালী রাজ্য কমিটির সদস্যর সঙ্গে সুদীপ্ত সেনে পরিচয় করিয়ে দেন?
৩. ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরীর মাধ্যমে সুদীপ্ত সেন সিপিএমকে টাকা দিয়েছেন বা কখনও তাদের মুখপত্রে বিজ্ঞাপনের দিয়েছেন কি না
৪. ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরীর লিভার ফাউন্ডেশন বা অন্য কোনও সংস্থাকে সুদীপ্ত সেন ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার বা নগদ টাকা দিয়েছেন কি না।
তথ্য অনুসারে, ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত এবং সম্পর্কিত অন্যান্য সুবিধার জন্য সুদীপ্ত সেনকে গাইড করেছিলেন। এই বিষয়গুলির সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে।
আমার বিনীত নিবেদন,
১. ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সুদীপ্ত সেনকে নতুন করে জেরা করুন।
২. অনুগ্রহ করে সুদীপ্ত সেনের বিষয়ও ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন।
৩. অনুগ্রহ করে ডাঃ চৌধুরী ও তাঁর সংস্থার অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চেক করুন।
৪. কোনও অফিসিয়াল লেনদেনের প্রমাণ মিললে, তহবিল উদ্ধার করে মামলাটি ED-এর কাছেও হস্তান্তর করা যেতে পারে। অভিজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
আমি প্রয়োজনে সুদীপ্ত সেন ও ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী দুজনের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে আমিও সহযোগিতা করতে পারি।
আমার বিনীত আর্জি, উপরোক্ত তথ্যের তদন্তের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং আইন অনুযায়ী প্রকৃত সত্য খুঁজে বের করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করুক সিবিআই।“