যোগী রাজ্যে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধে কোনও বিরাম নেই। রোজ বাড়ছে পকসো মামলাও (POCSO Act)। এই আবহে উল্লেখযোগ্য রায় দিল এলহাবাদ হাইকোর্ট। সেখানে ধর্ষিতা কিশোরীকে অভিযুক্ত ধর্ষক বিয়ে করবে ও তার সদ্যোজাত সন্তানের দায়িত্ব নেবে, এই শর্তে পকসো মামলায় ধৃতকে জামিন দিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) সিঙ্গল বেঞ্চ। ধর্ষণে অভিযুক্তকেই ‘বাবা’ (Father) হয়ে উঠতে হবে ধর্ষণের কারণে জন্ম নেওয়া শিশুর, এই শর্তেই জামিন মিলল অভিযুক্ত যুবকের।
তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছিল অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে। তরুণীর পরিবার দাবি করে, তাদের মেয়ে নাবালিকা। যদিও অন্যদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেন, নির্যাতিতার বয়স আঠারো বছরের বেশি। অন্যদিকে ধর্ষণের অভিযোগও মানা হয়নি, বরং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ঘটনা বলে দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর। যাবতীয় বিষয়ে আদালতকে তথ্যপ্রমাণ দেন অভিযুক্তের আইনজীবী (Lawyer)। পাশাপাশি জামিনের দাবি করে বলা হয়, অভিযুক্ত নির্যাতিতাকে বিয়ে করতে রাজি আছেন, সদ্যোজাতের দায়িত্ব নিতেও প্রস্তুত।
এই বিষয়ে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত সমস্ত তথ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে। গত ১০ সেপ্টেম্বর আদালত তার পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণন পহল নির্দেশ দেন, প্রথমত, তিন মাসের মধ্যে নির্যাতিতাকে বিয়ে করবেন অভিযুক্ত। দ্বিতীয়ত, সদ্যোজাতের (Newborn) দায়িত্বও তাকেই নিতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত অভিযুক্তকে ছয় মাসের মধ্যে সদ্যোজাতের নামে ব্যাঙ্কে দু’লাখ টাকার একটি স্থায়ী আমানত খুলতে হবে। শেষ পর্যন্ত এই শর্তেই জামিনে মুক্ত হন ধর্ষণে অভিযুক্ত।