আমেরিকার সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করল ভারত। দীর্ঘদিন আলোচনার পরে অবশেষে ৩১টি মার্কিন শিকারি ড্রোন (প্রিডেটর) কিনছে নয়াদিল্লি। গত বছরই এই ড্রোন চুক্তিতে সবুজ সংকেত দিয়েছিল ওয়াশিংটন। সরকারিভাবে ড্রোন কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল মঙ্গলবার। তবে এই ড্রোন কবে ভারতে আসবে, তা এখনও জানা যায়নি। সাড়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। তার বিনিময়ে ভারতের হাতে ৩১টি ‘প্রিডেটর ড্রোন’ তুলে দেবে আমেরিকা। তবে এসব ড্রোন হাতে পেতে পেতে খরচ পড়বে ৩৪ প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মত, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের সঙ্গে বিবাদের আবহে এই চুক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে ভারতীয় স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর জন্য প্রিডেটরের ‘এমকিউ-৯বি’-র ‘সি গার্ডিয়ান’ এবং ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ সংস্করণ কেনার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি আমেরিকার দেলাওয়ারে ‘কোয়াড’ শীর্ষ সম্মেলন হয়। সেখানে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মোদির আলোচনাও হয়। তার এক মাসের কম সময়ের মধ্যে এই ড্রোন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার ফল বলেই মনে করা হচ্ছে।গত সপ্তাহেই মোদি সরকারের মন্ত্রিসভা এই চুক্তির বিষয়ে অনুমোদন দেয়।৩১টি ড্রোনের মধ্যে ১৫টি নৌবাহিনী, ৮টি সেনাবাহিনী এবং বাকি ৮টি বিমানবাহিনী পেতে পারে।
২০১৭ সালে এই ড্রোন ভারতকে দেওয়ার ঘোষণা করেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোট ৩১টি প্রিডেটর ‘এমকিউ-৯বি’-র ‘সি গার্ডিয়ান’ এবং ‘স্কাই গার্ডিয়ান’ সংস্করণ কেনার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্তও নেয় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশেষে সেই চুক্তি স্বাক্ষর হল। ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টা ধরে একটানা ওড়ার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রিডেটর ড্রোন হাতে এলে ভবিষ্যতে ভারতীয় সেনার পক্ষে বিনা ঝুঁকিতেই বালাকোটের মতো অভিযান চালানো সম্ভব হবে বলে ধারণা সামরিক বিশ্লেষকদের। ১ হাজার ৭০০ কেজির বেশি ওজনের বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ড্রোন পেতে উৎসাহী ছিল ভারতীয় সেনাও।