একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের পাশাপাশি একাধিক বেসরকারি হাসপাতালও নন-ইমার্জেন্সি পরিষেবা বন্ধ করার পথে হাঁটতে শুরু করেছে। অনশনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শহরের একাধিক হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোগীরা যাতে পরিষেবা পান, তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা দাবি করেছেন। সোমবার সকাল ছ’টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত, ৪৮ ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে।
যদিও রোগী পরিষেবায় কোনও সমস্যা হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন তাঁরা।বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণার সময় বলেছিলেন, জনগণের কথা ভেবে জরুরি ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু থাকবে। কোনও রোগীর কোনও অসুবিধা হবে না। সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন, যদি কখনও কোনও জরুরি অবস্থা হয়, তখন যে কোনও সময়ে হাসপাতালে যাবেন, চিকিৎসকেরা সব সময় সাহায্য করবেন।
এরই পাশাপাশি,আরজি কর হাসপাতালের খুনের ঘটনার শুনানিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আদালত নির্দেশিত ৯০-৯৮ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারি ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এই কাজ হয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, তারা পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালগুলিতে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করেছে।