আজ, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে শুরু হয়েছে পুজো কার্নিভাল। রেড রোডে যখন সেই কার্নিভাল চলছে, তখনই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করলেন ডাক্তাররা।আজ বিকেল ৪টের সময় ধর্মতলায় জমায়েতের ডাক দিয়েছিলেন জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস। রানি রাসমণি রোডে মানববন্ধনের ডাক দেন আন্দোলনকারী ডাক্তাররা। যদিও পুলিশ এই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি।
ওয়াকিবহালমহলের মত, দ্রোহর অর্থই জানা নেই। অথচ দ্রোহ কার্নিভালের নামে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে সিপিএম। শেষ পর্যন্ত ড্যামেজ কন্ট্রোলে আসরে নামলেন পবিত্র সরকার।এসবের মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হন অপর্ণা সেন, উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। এদিকে ধর্মতলা চত্বরে মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলা চত্বরে।
এই অবস্থায় রাজ্যে স্বাস্থ্য জট ছাড়াতে এবার সরকারকে চিঠি দিল বামফ্রন্ট। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা বসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের জেরে আরও বিপাক বাড়ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায়। তাই এটা দ্রুত মীমাংসার প্রয়োজন রয়েছে।
পুজোর কার্নিভালের মাঝেই ধর্মতলায় প্রতিবাদের কার্নিভালে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানুষের ভিড়।দলে দলে মানুষ যোগ দেন মানববন্ধনে। প্রায় সকলেরই হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। মুখে একটাই স্লোগান, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’।ডাক্তারদের এই ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছিল। যদিও দ্রোহের কার্নিভাল ঘিরে কার্যত জনজোয়ার।
গতকাল আন্দোলনকারী ডাক্তাররা দাবি করেছিলেন যে পুজো কার্নিভাল ব্যাহত করার কোনও ইচ্ছে তাঁদের নেই। তারপরও পুলিশ ডাক্তারদের কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করে। এদিকে পুলিশি অনুমতি নিয়ে গতকাল চিকিৎসকরা দাবি করেছিলেন, পুলিশের থেকে দ্রোহের কার্নিভাল কর্মসূচির কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। তাদের শুধু এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল ডাক্তারদের তরফ থেকে। এদিকে দ্রোহের কার্নিভালে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ঢাক, স্লোগানিং এর পাশাপাশি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আকাশে উড়ল কালো বেলুন। জ্বলল মোবাইলের ফ্ল্যাশ।
দ্রোহের কার্নিভাল রুখতে পুলিশ কলকাতার ৯ জায়গায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। রাজ্যের অনুরোধ ছিল, অন্য কোনও দিন দ্রোহের কার্নিভালের নির্দেশ দেওয়া হোক। তবে হাই কোর্ট মঙ্গলেই দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দেয়। আট থেকে আশি সকলেই শামিল হন প্রতিবাদে। প্রত্যেকের একটাই কথা, সুবিচার না মেলা পর্যন্ত লড়াই চলবে।ঢাকের তালে তালে চলল স্লোগান। সকলের একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।








































































































































