ধর্মতলার অনশনমঞ্চে অসুস্থ জুনিয়র ডাক্তার তনয়া, উত্তরবঙ্গে অনশনে সন্দীপ

0
8

আমরণ অনশনে বসে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctor)। রবিবার রাতে পুলস্ত্য আচার্যের পরে সোমবার সকালে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার তনয়া পাঁজা। যদিও এখনই অনশনমঞ্চ ছাড়তে রাজি নন তিনি। এদিকে, সোমবার থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ মণ্ডল (Sandip Mondal)।অনিকেত মাহাত, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অলোক বর্মার পরে তনয়া পাঁজা- অসুস্থ হয়ে পড়লেন। এর মধ্যে অলোক বসেছিলেন উত্তরবঙ্গে। অনশনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ENT বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট তনয়ার মাথা ঘুরছে। উঠে বসতে পারছেন না। তাঁর রক্তচাপ কমেছে। জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) দেবাশিস হালদার জানান, “তনয়ার শরীরটা খারাপ। মাথা ঘুরছে। আমাদের মেডিক্যাল টিম ওঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।“ রবিবার রাতে ধর্মতলার ওই মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনশনরত পুলস্ত্য আচার্য। পেটে ব্যথা শুরু হওয়ায় অনশনমঞ্চেই তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্‌স ফ্রন্ট’-এর চিকিৎসকেরা। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপাতত নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন তিনি।এদিকে, ধর্মতলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রথমে দুজন অনশনে বসেন- উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের মনোরোগ বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া অলোক বর্মা ও উত্তরবঙ্গ ডেন্টালের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১২ অক্টোবর অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অলোক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অলোক অসুস্থ হওয়ার পর থেকে একাই ছিলেন সৌভিক। এ বার তাঁর সঙ্গে অনশনে বসলেন সন্দীপ।

কিন্তু যেখানে সরকারের তরফে বেশিরভাগ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বার বার আলোচনায় বসে সমাধানের দিশা দেখাচ্ছেন মুখ্যসচিব। সেখানে কেন কিছু চিকিৎসকের জীবনবাজি রেখে এই আন্দোলন চলছে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।