দশটির মধ্যে সাতটি দাবি মানা হয়েছে: ডাক্তারদের অনশন তোলার আবেদন জানিয়ে বার্তা মুখ্যসচিবের

0
3

একের পর এক দাবি বেড়েছে। দাবি আদায়ে চাপ দেওয়ার পন্থা হিসাবে জুনিয়র চিকিৎসকরা বেছে নিয়েছেন অনশনের পথ। সরকার নমনীয়তা দেখিয়ে একে একে সাতটি দাবি মেনে নিয়েছে। তারপরেও অনমনীয় চিকিৎসকরা। সোমবার চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক শেষে ফের জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন তোলার আবেদন জানালেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Pant)। সেই সঙ্গে শেষ তিন দাবি নিয়ে এখনই কোনও নির্দিষ্ট সময় দেওয়া সম্ভব নয়, স্পষ্ট বার্তা মুখ্যসচিবের (Chief Secretary)।

নিরাপত্তা, রেফারাল সিস্টেম থেকে অপসারণ – জুনিয়র চিকিৎসকদের সাত দফা দাবি মেনেছে রাজ্য সরকার। তারপরেও রাজ্যের উপর দাবি আদায়ে চাপ বাড়াতে থাকা চিকিৎসকরা পরিষেবা বন্ধ রেখে অনশনে (hunger strike)। সেই জটিলতা কাটাতে সোমবার চিকিৎসকদের ১২টি সংগঠনকে বৈঠকেও ডাকেন মুখ্যসচিব (Chief Secretary)। তবে চিকিৎসকদের অনমনীয়তায় সেই বৈঠকও ফলপ্রসু হল না।

চিকিৎসকদের মনোভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যসচিবের বার্তা, “দাবি নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়। সাতটি দাবির মধ্যে কিছু দাবি পূরণ হয়ে গিয়েছে। কিছু কাজ চলছে।” সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “দশটির মধ্যে সাতটি দাবি পূরণ হয়েছে। ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে কোনও কথা নেই। ইতিবাচক পদক্ষেপকে স্বীকার (appreciate) করাও উচিত।”

 

সোমবারের বৈঠক কার্যত তিন দফায় আটকে যায়। দ্রুত জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন প্রত্যাহারে তিন দফা দাবি মানতে চাপ দেওয়া হয় রাজ্যকে। যদিও মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন কোনও নির্দিষ্ট সময়ের (timeline) মধ্যে এই তিন দফা দাবি মানা সম্ভব নয়। তিনি জানান, দাবি মানতে টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়। পরিস্থিতি বুঝে সিস্টেমেটিক পদক্ষেপ (systematic step) নেওয়ার কথা জানান তিনি।

তবে এরপরেও সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন প্রত্যাহারের আবেদন জানান মনোজ পন্থ। তিনি জানান, “জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুদিন আগে কথা বলেছি। মেল করেছি অনশন তোলার অনুরোধ করে।
অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করব। ওঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে আমরাও চিন্তিত।”