হাসপাতালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ! হাই কোর্টের দ্বারস্থ আর জি করের সাসপেন্ডেড ৫১ চিকিৎসক

0
2

হাসপাতালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাসপেন্ড হওয়া ৫১ জন জুনিয়র চিকিৎসক। এই ৫১ জনের বিরুদ্ধে হাসপাতালে থ্রেট কালচার বা হুমকি সংস্কৃতি চালানো, আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করারও অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়। এবার হাসপাতালের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ সাসপেন্ড জুনিয়র চিকিৎসকেরা (Junior Doctor)।

আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে বিষয়টি সবথেকে বেশি আলোচিত হয়েছে, তা হল ‘থ্রেট কালচার’। এরপর আরজি কর হাসপাতালের (R G Kar Medical College and Hospital) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়ে অভিযোগের ভিত্তিতে সেই জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে মূলত থ্রেট কালচারে (Threat Culture) জড়িত থাকা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে তদন্ত কমিটির কোপে পড়ে সাসপেন্ড ৫০-এর বেশি ইন্টার্ন। তবে, তাঁদের দাবি তাঁরা নির্দোষ। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই তাঁরা সাসপেন্ড হয়েছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়ে গত বুধবার, তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন এই সাসপেন্ড হওয়া ইন্টার্নদের ১০-১২জন। কুণাল জানান, কেউ যদি দোষী হন, তিনি শাস্তি পাবেন। কিন্তু যাঁরা ষড়যন্ত্রের শিকার, তাঁদের হয়ে তিনি সরকারের কাছে আবেদন জানান।

এবার হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তার। বিচারপতি সেন তাঁদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। ১৮ অক্টোবর মামলার শুনানি।