ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে অসুস্থ অবস্থায় জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোকে (Aniket Mahato) নিয়ে যাওয়া হল আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Hospital)। বুধবার থেকেই তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে চার সদস্যের চিকিৎসকদল তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তার পরেও অনড় ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেশি রাতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। এর আগেই কলকাতা পুলিশের আবেদন মেনে অনশন তোলার আবেদন জানান প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ।
দুদিন ধরে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) তরফে ধর্মতলায় অনশনকারী চিকিৎসকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বিফল হলেও রাজ্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী দলকে ফেরালো না অনশনরত চিকিৎসকরা। যদিও সেই চিকিৎসকদলের পরামর্শ মেনে হাসপাতালে যাওয়ার পদক্ষেপের দিকে পা ফেলতে দেখা যায়নি অনশনরত দুই অসুস্থ চিকিৎসকদের। বৃহস্পতিবার রাতে চার সদস্যের চিকিৎসকদের দল পরীক্ষা করেন অনশন চালিয়ে যাওয়া সাত জুনিয়র চিকিৎসকদের (junior doctors)।
কলকাতা পুলিশ ধর্মতলায় অনশনরত চিকিৎসকদের জন্য দুদিন ধরে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করলেও তাতে সায় দেননি তাঁরা। তবে রাজ্য সরকারের তরফে জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় চার সদস্যের চিকিৎসকদের দল তাঁদের বৃহস্পতিবার রাতে পরীক্ষা করতে গেলে তাঁরা সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকদলের মত দুই অনশনকারী চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো ও স্নিগ্ধা হাজরাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন। বাকিদেরও শরীরে সমস্যা শুরু হয়েছে।
এরপরই অসুস্থতা গুরুতর দিকে যাওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় সম্মতি দেন অনিকেত। তার সম্মতি মিলতেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় গ্রিন করিডোর করে তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। আর ঠিক এই পরিস্থিতি যাতে না হয় তার জন্য সতর্ক করে কুণাল ঘোষ আবেদন জানিয়েছিলেন, “অনশনকারীদের প্রতি পুলিশের সংবেদনশীল, দায়িত্বপূর্ণ মনোভাব থেকে প্রত্যেককে চিঠি। সকলেরই অনুরোধ, রাজনৈতিক প্ররোচনায় আর জটিলতা না বাড়িয়ে অনশন তুলে নিন জুনিয়র ডাক্তাররা। কয়েকজনকে বিপদে ফেলে অন্যরা মিডিয়ায় নেতা সাজছে, অন্য দল নিজেদের রাজনীতি করছে। এসবের সঙ্গে বিচারের দাবির সম্পর্ক নেই। সিবিআই কোর্টে চার্জশিট দিয়েছে। বিচার চলবে কোর্টে। সরকার তার করণীয় করেছে, করে চলেছে। এখন অনশন কেন?”