রসায়নে (Chemistry) নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী। যারা হলেন ডেভিড বেকার, জন জাম্পার, ডেমিস হাসাবিস (David Baker, John Jumper and Demis Hassabis)। মূলত তাঁরা প্রোটিনের উপরে কাজ করেছেন। প্রোটিনের (Protin) আকার এবং গঠনের জন্য এই তিনজন বিজ্ঞানী নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন। আমেরিকার সিয়াটলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড বেকার প্রোটিনের কম্পিউটার-ভিত্তিক নকশার জন্য পুরস্কৃত হবেন। ২০০৩ সালে একটি নতুন প্রোটিনের নকশা তৈরি করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে গুগল ডিপমাইন্ডের দুই বিজ্ঞানী ডেমিস হ্যাসাবিস ও জন এম জাম্পার পুরস্কার পাবেন প্রোটিনের জটিল গঠন পূর্বানুমানের জন্য।
বুধবারই রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জানিয়েছে, এবারের রসায়নে নোবেল পাচ্ছেন তাঁরা। পুরস্কারটি দুই ভাগে দেওয়া হয়েছে। প্রথম ভাগটি পেয়েছেন ডেভিড বেকার। তাকে “কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন”-এর জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক। অন্যদিকে অপর ভাগটি যৌথভাবে পেয়েছেন ডেমিস হাসাবিস ও জন এম. জাম্পার। গুগল ডিপমাইন্ডের এই দুই বিজ্ঞানীকে “প্রোটিন স্ট্রাকচার প্রেডিকশন”-এর জন্য যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
১৯০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রসায়নে ১১৮টি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পান জ্যাকবাস এইচ. ভ্যান হফ (Jacobus Henricus van ‘t Hoff)। রসায়নে দুইবার করে নোবেল পেয়েছেন ফ্রেডেরিক স্যাঙ্গার (Frederick Sanger) ও ব্যারি শার্পলেস (Karl Barry Sharpless)। এদিকে, রসায়নের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পেয়েছেন ফ্রেডেরিক জোলিয়ট (Frederic Joliot)। ১৯৩৫ সালে এ পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩৫ বছর। আর সবচেয়ে বেশি বয়সে রসায়নে নোবেল পেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জন বি. গুডএনাফ (John B Goodenough)। ৯৭ বছর বয়সে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- হরিয়ানার পরাজয় থেকে শিক্ষা নিক কংগ্রেস: পরামর্শ তৃণমূলের, মন্তব্য উদ্ধবেরও