দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা যখনই আলোচনায় বসতে চেয়েছেন- সময় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Panth)। কিন্তু তাতেও জটিলতা কাটেনি। অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctor) প্রতিনিধিরা। এবার সেই অনশনের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে পদক্ষেপের অনুরোধ জানিয়ে ইমেল করলেন নাগরিক সমাজের একাংশ। এর পাশাপাশি, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা।ইমেলে লেখা হয়েছে,
“৯ অগস্ট থেকে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিচার, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা, সুষ্ঠু পরিকাঠামোর দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা (Junior Doctor) আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহত্তর নাগরিক সমাজ একই দাবিতে মুখর। কিন্তু সিসি ক্যামেরা, রক্ষী নিয়োগ, রেস্ট রুম ও শৌচালয় তৈরি, ওষুধ-সরঞ্জামের পর্যাপ্ত জোগান, স্বচ্ছ রেফারেল সিস্টেম চালু, মেডিক্যাল কলেজে অনিয়ম ও ভীতির পরিবেশের অবসানের মতো ন্যূনতম পরিকাঠামোগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি থেকে গিয়েছে বলে মনে করছে জুনিয়র-সিনিয়র ডাক্তার ও বহু রোগী-পরিজনের উপলব্ধি।“ইমেলে নাগরিক সমাজের একাংশের দাবি, “আমরা মনে করি, ডাক্তারদের দাবি এবং অভিযোগগুলি একেবারেই যথার্থ এবং অনতিবিলম্বে সেগুলির সুরাহা হওয়া একান্তই প্রয়োজন। সেটা সার্বিক ভাবে নাগরিক নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুরক্ষার সঙ্গেও সম্পৃক্ত।“ এই বিষয়ে পদক্ষেপ করতে মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব আলোচনায় বসা প্রয়োজন বলে মত নাগরিক সমাজের একাংশের। ইমেলে স্বাক্ষর রয়েছে নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, অভিনেতা কৌশিক সেন, রেশমি সেন, ঋদ্ধি সেন, দেবলীনা, অধ্যাপক ঋত্বিকা বিশ্বাস, মইদুল ইসলাম, রজতকুমার দে, আইনজীবী সুপ্রতীক শ্যামল, শামিম আহমেদ, শ্রীময়ী মুখোপাধ্যায়, রঘুনাথ চক্রবর্তী, কৌশিক গুপ্ত, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার-সহ।
১০ দফা দাবিতে ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই মুহূর্তে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ৭ জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের এই অনশন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থেকে রিলে অনশন করছেন সিনিয়ররাও। এদিন বেথুন কলেজের প্রাক্তনীরা কলেজের সামনের ফুটপাতে জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থনে ১২ ঘণ্টার জন্য প্রতীকী অনশনে বসেছেন। কারও বয়স ৭৫ কেউ কেউ অশীতিপর। অন্যান্য স্কুলগুলির প্রাক্তনী এবং নাগরিক সমাজকে এই প্রতীকী অনশনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান বেথুনের প্রাক্তনীরা।
তবে, প্রশ্ন উঠছে যেখানে তদন্ত করছে সিবিআই, তাদের চার্জশিটেও কলকাতা পুলিশের তদন্তের প্রতিফলনই মিলিছে। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে পদক্ষেপ করেছে সরকার। চলছে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। তার পরেও এই আন্দোলন কেন! এই কোনও সঠিক জবাব নেই আন্দোলনকারীদের।