পঞ্চমীতে পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা বাংলা(Durga Puja festival )। সকাল থেকে ঠাকুর দেখা শুরু আট থেকে আশি সব বয়সীদের। এর মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মসূচির জেরে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে ৭ জন এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ২জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, পুজোর প্রথম দিনে খবরে ভেসে থাকতে জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা করেছে WBJDF। আজ বিকাল সাড়ে ৪টেয় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল। পাশাপাশি, রাজ্যের সর্বত্র সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুজোর দিনে মহানগরীর একটা বড় অংশ দিয়ে এই মিছিলের জেরে যানজটে আটকে পড়তে পারেন বহু মানুষ আশঙ্কা লালবাজারের (Kolkata Police)।
আর জি কর কাণ্ডকে (RG Kar Medical College and Hospital Case) শিখন্ডী করে নিজেদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক খেলা খেলতে ব্যস্ত জুনিয়র ডাক্তারবাবুরা। দশ দফা দাবি তুলে আমরণ অনশনের কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। কখনও কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) কখনও রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়া চিকিৎসকদের বেশ কিছু দাবি মেনে সরকার পদক্ষেপ করেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় এজেন্সির জমা দেওয়া চার্জশিটে দেখা গেছে কলকাতা পুলিশ যে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল তাঁকে মূল অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরও কখনও অনশন মঞ্চের লাইভ স্ট্রিমিং আবার কখনও মহামিছিলের নামে বারবার মানুষের আবেগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করে চলেছেন ডাক্তারবাবুরা। মহালয়া থেকে যখন উৎসবে ফিরেছেন আমজনতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা করে রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল, তখন ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পঞ্চমীর বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে ডাক্তারদের মহামিছিল। মধ্য কলকাতায় বেশ কিছু বড় পুজো ঘিরে উন্মাদনা রয়েছে। এই একই জায়গার মিছিলে থাকায় সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ চত্বরের ট্রাফিক সচল রাখাই আজ কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।