পূর্ণরাজ্য মর্যাদা বিলোপের জবাব কাশ্মীরে, হরিয়ানায় কোনও মতে টিকল বিজেপির গদি

0
1

জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের (abrogation) বিজেপির সিদ্ধান্ত যে কাশ্মীরের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন তারই জবাব তাঁরা দিলেন বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে। পূর্ণ রাজ্যের অধিকার কেড়ে নেওয়া বিজেপির পরিবর্তে কংগ্রেস (Congress)-ন্যাশানাল কনফারেন্সের (National Conference) জোটকেই বেছে নিলেন কাশ্মীরের মানুষ। যদিও হরিয়ানায় কোনওক্রমে মুখরক্ষা হয়েছে নওয়াব সিং সাইনির বিজেপির। কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সামান্য আসনের জন্য হরিয়ানা (Haryana) হাতছাড়া হাত শিবিরের।

পাঁচ বছর আগে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) জাত্যাভিমানে আঘাত করে উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছিল মোদি সরকার৷ এর দু-মাসের মধ্যেই কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের অধিকার৷ সুযোগ পেয়ে তার যোগ্য প্রতিবাদ করে উপত্যকা থেকে গেরুয়া শিবিরকে মুছে ফেললেন জম্মু-কাশ্মীরের অধিবাসীরা৷ ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৮টিতে জয়ী কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট৷ বিজেপি পেয়েছে আছে ২৯টি আসনে৷ কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট কাশ্মীরে ক্ষমতা দখল করলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah)৷ এদিনের ভোটের ফলাফলকে কাশ্মীরের জনতার জয় বলেই অভিহিত করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদুল্লাহ (Farooq Abdullah)৷ অদূর ভবিষ্যতে কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরাবেন তাঁরা, মঙ্গলবার দাবি জানিয়েছেন ফারুখ ও ওমর আবদুল্লাহ দুজনেই৷

উপত্যকায় বিজেপিকে পযুর্দস্ত করলেও দিল্লি-লাগোয়া জাঠ রাজ্য হরিয়ানায় (Haryana) অন্য ছবি দেখা গিয়েছে৷ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল করতে ব্যর্থ হল কংগ্রেস৷ ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে হরিয়ানায় ৩১টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস৷ এবার সেই আসন কিছুটা বেড়ে কংগ্রেস জিতেছে ৩৭টি আসনে, বিজেপি জিতেছে ৪৮টি আসনে৷ কুমারী শৈলজা বনাম ভূপেন্দ্র সিং হুডার (Bhupendra Singh Hooda) দশক-পুরোনো দ্বন্দ্ব দূর করতে না পারলে কংগ্রেসের ভরাডুবি হতে পারে, হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের আগে এই আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই৷ সেই আশঙ্কাই মিলে গেল হুবহু৷ কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুযোগে হরিয়ানায় আবার সরকার গড়ার সুযোগ পেতে চলেছে বিজেপি৷

অথচ বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা এবং বুথ-ফেরত সব সমীক্ষায় দাবি জানানো হয়েছিল যে হরিয়ানার ভরাডুবি হবে বিজেপির৷ তারপরেও বিজেপি যেভাবে জাঠ-অধ্যুষিত রাজ্য হরিয়ানায় পরপর তিনবার ক্ষমতা দখল করল, তা দেখার পরে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেরই অভিমত, হরিয়ানায় বিজেপিকে জিততে পরোক্ষে সাহায্য করেছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ রাজ্যে কংগ্রেসের সান্ত্বনা পুরস্কার কুস্তিগির অলিম্পিয়ান বিনেশ ফোগত (Vinesh Phogat)৷ প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নেমে জুলেনা কেন্দ্র থেকে ৬০১৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন বিনেশ৷ নয়াদিল্লি থেকে ফোনে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নবাব সিং সাইনিকে (Nayab Singh Saini) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷