ইরান (Iran) ও ইজরায়েলের (Israel) মধ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা বড় প্রভাব ফেলছে বিশ্বে। সংঘাতের আঁচে পুড়ছে পশ্চিম এশিয়া। ভারত-সহ বিশ্বের বড় বড় দেশগুলির কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। এবার দুই দেশের মধ্যে এই যুদ্ধের উত্তাপ পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের (Crude Oil) বাজারে। যার ফল ভুগতে হতে পারে তেল আমদানিকারক দেশগুলিতে। ফলে ফের বাড়তে পারে জ্বালানির দাম।
১ অক্টোবর গভীর রাতে ইরান ইজরায়েলের ওপর ২০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) নিক্ষেপ করেছিল। এর জন্য ইরানকে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছে ইসরাইল। বিশ্বের খনিজ তেলের ভান্ডারের ১০ শতাংশ রয়েছে ইরানের হাতে। শুধু তা-ই নয়, পেট্রোলিয়াম রফতানিকারী দেশগুলির সংস্থা, ওপেকের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র হল ইরান (Iran)। এই পরিস্থিতিতে ইরানের তেলের খনি ও ভান্ডারে ইজ়রায়েলি ডিফেন্স ফোর্স ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার নেবে তা বলাই বাহুল্য। ফলে খনিজ তেলের সঙ্কটে বিশ্ব বাজারে অগ্নিমূল্য হবে অপরিশোধিত তেলের দর।গত দিনে প্রায় অপরিশোধিত তেলের দাম ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারেও (Stock Market)।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ স্টিফেন ইনেস এ প্রসঙ্গে বলেছেন,”ইজ়রায়েলের উপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা একমুখী প্রতিক্রিয়া, না কি আরও বড় কিছুর সূচনা? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে আমেরিকা যে হেতু ইহুদিদের সমর্থনে রয়েছে।” পাশাপাশি গবেষণা সংস্থা ‘ক্যাপিটাল ইকোনমিক্স’-এর দাবি, ইরান ফের ইজরায়েলের উপর হামলা চালালে ইহুদিদের হয়ে যুদ্ধে নামতে পারে আমেরিকা (America)। বিশ্বব্যাপী তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ শতাংশ আসে ইরান থেকে। শিয়া মুলুকের তেলের ভান্ডারে আঘাত হলে সৌদি আরব উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে। যা কিছুটা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছে সংস্থা।
বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে নয়াদিল্লি (New Delhi)। ২০২২ সালে, যার ৩০ শতাংশ রাশিয়া থেকে কিনছে ভারত। তবে ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাত ভারতীয় অর্থনীতিতে (Economy) প্রভাব ফেলেছে। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেছেন,”পশ্চিম এশিয়ার সঙ্কট আমাদেরও স্পর্শ করেছে। বিশ্ব বাজারে তেলের দাম হু-হু করে বাড়ছে। এক জায়গার সংঘাত আর্থিক ভাবে সবাইকেই ক্ষতবিক্ষত করছে।”