কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ গুলির নিরাপত্তা পরিকাঠামো ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্য সরকার। সেই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার ফের একবার বৈঠকে বসলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও তিনটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকেও নবান্নে তলব করা হয়েছিল। বৈঠকে ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজকর্মের অগ্রগতি নিয়েই মূলত বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তবে আরজিকরের সিনিয়র ডাক্তারদের গণইস্তফা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেই খবর।
মঙ্গলবার সকালে গণইস্তফার পথে হেঁটেছেন আর জি করের ৫০ সিনিয়র ডাক্তার। কিন্তু যে পদ্ধতিতে তাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন তা বিধি মাফিক নয় বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ফলে এই পদক্ষেপ প্রতীকী বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।
প্রসঙ্গত সোমবারই নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন, ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েই দেখছে সরকার। ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বটন-এর কাজ শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে। এমত পরিস্থিতিতে অনশন প্রত্যাহার করে নিতেও চিকিত্সকদের অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন- রাজ্যের উদ্যোগে মিলেছে বোনাস! প্রথা ভেঙে পুজোয় সামিল অসুর সম্প্রদায়ের চা-বাগান শ্রমিকেরা