দশ দফা দাবি নিয়ে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় আমরণ অনশনে (Doctor’s hunger strike) বসেছেন ছয় জুনিয়র চিকিৎসকরা। কিন্তু প্রথম দিন থেকে আর জি করের আন্দোলনরত প্রতিবাদী ডাক্তাররা না থাকায় সমালোচনা হয়। শেষমেষ বিতর্ক এড়াতে ট্রেনি চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো (Aniket Mahato) রবিবার থেকে ধর্নায় বসেছেন। এবারে যোগ দিলেন কয়েকজন সিনিয়র ডাক্তার। যদিও তাঁদের অনশন মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য।
সোমবার সকাল থেকে একদিনের প্রতীকী অনশনে বসেছেন প্রায় জনা দশেক সিনিয়র ডাক্তার চিকিৎসক। জুনিয়রদের আন্দোলনে পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই প্রতীকী অনশন বলে জানা যাচ্ছে। আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর পর থেকে দফায় দফায় আন্দোলন করে চলেছেন হবু ডাক্তারবাবুরা। কখনও পাঁচ দফা কখনও সাত দফা দাবি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর এবার দশ দফা দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারকে (Government of West Bengal) ‘থ্রেট’ দিয়ে শুক্রবার থেকে ধর্মতলায় আন্দোলন শুরু করে WBJDF। শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় আমরণ অনশন। আজ সোমবার অনশনের তৃতীয় দিন। সরকারি হাসপাতালের (Government Hospital) দুই সিনিয়র ডাক্তার এবং কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে রবিবার ১২ ঘণ্টার অনশনে বসে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন নাগরিক মঞ্চের এক প্রতিনিধিও। বর্তমানে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশন চালাচ্ছেন ধর্মতলায়। রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পিডিটি অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা, ক্যানসার বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট স্নিগ্ধা হাজরা, এসএসকেএমের পিডিটি অর্ণব মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পিজিটি পুলস্ত্য আচার্য, কেপিসি হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং আরজি করের অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের পিজিটি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অনিকেত মাহাতো। এনাদের সঙ্গে সামিল হয়েছেন সিনিয়ররাও।