আর জি করের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দুর্গোৎসবকে কার্যত হেয় করে বসলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত। উৎসব নাকি মানুষের ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে! অভিযোগ উপাচার্যের। এর পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে, বাংলার উৎসবকে অপমান করার অধিকার উপাচার্যের নেই। পাল্টা কুণালের দাবি, শান্তা দত্তকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

সোমবার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপাচার্য বলেন, উৎসব নাকি বাংলার মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। শান্তা দত্তের কথায়, “মানুষ এখন বিচার চাইছেন। সরকার প্রশাসনের উচিত সঠিক বিচার করে দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা। যাতে আগামিদিনে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, “আমাদের ছেলেমেয়েরা, ভাই-বোনেরা অনশন করছে, ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে আগে একবার অনশন মঞ্চে যাবেন। প্রতিবাদটা ভুলে যাবেন না।”

এর পাল্টা তীব্র প্রতিবাদ করে কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলার মানুষের উৎসবকে এভাবে অপমান করার অধিকার উপাচার্যের নেই। শান্তা দত্তের নিয়োগ নিয়ে সরাসরি না বললেও তৃণমূল নেতার কথায়, উপাচার্যকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর চেয়ারটা কতদিন থাকে সেটাই দেখার। একইসঙ্গে শান্তা দত্ত যদি চান তাহলে তাঁকে কলকাতার বেশ কয়েকটি পুজোর পাস কুণাল পাঠিয়ে দেবেন বলেও জানান। তাঁর কথায়, সেইখানে ভিড়ের সামনে গিয়ে শান্তা একবার বলে দেখান, যে উৎসবটা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- সম্বল শুধুই ভক্তিরস! বিল গেটসের পাড়ার দুর্গা পুজোয় ব্রাত্য পঞ্জিকা






































































































































