পঞ্চমীতে মিছিলের ডাক: ডাক্তাররা ‘রাজনীতির ঘুঁটি’ কটাক্ষ কুণালের

0
3

ধর্মতলায় অনশন অবস্থানেই থেমে থাকছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা (junior doctors)। উৎসবের মরশুমকে পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে আন্দোলনে জোর বাড়ানোর পথে তাঁরা। ধর্মতলার অনশন মঞ্চে চিকিৎসক ছাড়া জনসমর্থন দুদিন ধরে তেমনভাবে চোখে না পড়ায়, এবার জনসমর্থন টানতে আবার রাজপথে মিছিলের পথ নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পুজোর মরশুমে চিকিৎসকদের রাজপথে থাকা ও মিছিলের আয়োজনকে সরাসরি বামপন্থী মদতপুষ্ট বলে অভিযোগ তোলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। চিকিৎসকদের ঘুঁটি করে বিরোধীদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করার চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোমবার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে (North Bengal Medical College) প্রতীকী অনশন চালানো চিকিৎসকদের মধ্য়ে দুজন আমরণ অনশন শুরু করেছেন। অন্যদিকে ধর্মতলাতেই সিনিয়র চিকিৎসকরা প্রতীকী অনশনে জুনিয়রদের পাশে বসেন সোমবার থেকে। সেই মঞ্চ থেকেই সোমবার ঘোষণা করা হয় মঙ্গলবার অর্থাৎ দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন বিকালে কলেজ স্কোয়্যার (College Square) থেকে ধর্মতলায় অনশন মঞ্চ পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে সকাল ৯টা থেকে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশনে বসবেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। সোমবার ঘোষণা করেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের (JDF) পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার।

উৎসব শুরু হওয়ার আগেই সোমবার সিবিআই (CBI) তাদের প্রথম চার্জশিট পেশ করে শিয়ালদহ আদালতে। তার পরেও শহরে আন্দোলন-অনশনের পথে অচল থাকায় কটাক্ষের মুখে জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের জাস্টিসে দাবির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুণাল ঘোষ বলেন, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস (We want justice) একটা গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি স্লোগান। কিন্তু জাস্টিসের পর্যায়গুলোও চলছে। সিবিআইয়ের চার্জশিট একটা জাস্টিসের পর্যায়। সেই জাস্টিস দেখিয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গ্রেফতার ঠিক ছিল। তাহলে উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে কেন রাস্তায় থাকবেন? পুজোর সময় পুজো বানচাল করতে? মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণে কী করে রাস্তায় থাকা যায় তার প্রচেষ্টা।”

বাংলায় উৎসবের মরশুমে যে অর্থনীতি, তাতে চিকিৎসকদের আন্দোলন বাধার কাজ করছে। এমনটা দাবি করে কুণালের কটাক্ষ, “বাংলার উৎসব মানে ৭০ হাজার কোটি টাকা, কত পরিবার যুক্ত। ঠিক পুজোর সময় পঞ্চমীর দিন আপনারা আবার মিছিল করবেন। এতে উদ্দেশ্যটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। আসল কথা চেয়ার, আসল কথা অরাজকতা তৈরির চেষ্টা।”

চিকিৎসকদের অনশন-আন্দোলন মঞ্চকে কীভাবে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করে কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, “জুনিয়র ডাক্তাররা অনিতা দেওয়ানের নাম কেন লেখেননি মঞ্চে? কারণ রাজ্য সরকারকে (state government) বিরোধিতা করার জন্য আপনাদের মঞ্চকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ আপনারা রাজনীতির ঘুঁটি (bait)। আপনারা কিছু রাজনৈতিক দলের ঘুঁটিতে পরিণত হয়েছেন।” সেই সঙ্গে চিকিৎসকরা শিরদাঁড়া নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেই চিকিৎসকদেরই সোজ শিরদাঁড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুণালের প্রশ্ন, কেন তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাথোলজি সেন্টারে সাধারণ মানুষের আর্থিক হয়রানি নিয়ে সরব হন না।