বাজেট পেশের প্রস্তুতি রাজ্যের! সমস্ত দফতরকে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ অর্থ দফতরের

0
2

আগামী আর্থিক বছরের বাজেট পেশ হওয়ার বাকি এখনো ৫টি মাস। কিন্তু রাজ্য সরকার এখন থেকেই আগামী আর্থিক বছরের বাজেট পেশের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে চলতি আর্থিক বছরের সংশোধিত বাজেট ও আগামী অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাবের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে নির্দিষ্ট বয়ানে জমা দিতে অর্থ দফতর রাজ্যের সমস্ত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে। অর্থ দফতরের অধীনস্থ ডাইরেক্টরেটগুলিকে একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রথা মেনে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পরবর্তী আর্থিক বছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করার সঙ্গে চলতি আর্থিক বছরের সংশোধিত বাজেট পেশ করা হবে রাজ্য বিধানসভায়। চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের দফতরগুলি বাজেট বরাদ্দের কতটা খরচ করেছে, বাকি মাসগুলিতে আর কতটা খরচ করতে পারবে, অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন আছে কি না-এসবই প্রস্তাবে জানাতে হবে। আগামী আর্থিক বছরের বাজেট প্রস্তাবের জন্য দফতরগুলি তাদের প্রয়োজন যাচাই করে তথ্য পাঠাবে।

চলতি অর্থবর্ষেই রাজ্য সরকার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বকেয়া মজুরির জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। প্রথমে ঠিক ছিল ২১ লক্ষ মানুষকে ৫৫৫৩ কোটি টাকা প্রদান করা হবে। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় সাড়ে ২৪ লক্ষ। ফলে বাড়ে টাকা প্রদানের পরিমাণও। সেই অতিরিক্ত খরচের টাকা সংশোধিত বাজেটে তুলে ধরা হবে বলেই নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। আবার চলতি মাস থেকেই বাংলায় ১১ লক্ষ মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য সমীক্ষা শুরু হবে। প্রত্যেক উপভোক্তাকে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে। সেই হিসাবে রাজ্য সরকারের ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। তবে এক্ষেত্রেও বাড়তে পারে উপভোক্তার সংখ্যা। তাই প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট ধরেই এই কাজে নামতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এই খরচও সংশোধিত বাজেটে তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- জয়নগর ঘটনায় সিবিআইতে না! কী জানাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি?

একইসঙ্গে গ্রামীণ রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার নতুন করে কাজে হাত দিতে পারে। কেননা বন্যার জেরে কিবা উত্তরবঙ্গ, কিনা দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় রাস্তা কার্যত ধুয়ে মুছে গিয়েছে। সেই রাস্তার কাজের জন্যও রাজ্য সরকারকে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। মনে করা হচ্ছে সেই বিষয়টিও সংশোধিত বাজেটে ঠাঁই পাবে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের অনান্য যে সব আর্থসামাজিক প্রকল্প রয়েছে সেই সব প্রকল্পের খরচের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু সংশোধনী থাকবে। উল্লেখ্য, আগামী বছরে লোকসভা বা বিধানসভার নির্বাচন না থাকায় নির্দিষ্ট সময়েই রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করার কথা আছে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই বাজেট পেশ হবে রাজ্যের। সেই বাজেট ২০২৬ সালের রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট হতে চলেছে। আর সেখানেই একাধিক চমক থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।