অন্য জায়গার ঘটনায় মুখে লিউকোপ্লাস্টার! ‘প্রতিবাদীদের’ কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

0
1

বাংলার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কতটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে তা প্রমাণ করে বিভিন্ন ঘটনায় রাজ্যের মানুষের প্রতিবাদের প্রকৃতি। তবে বাংলায় যেভাবে প্রতিবাদে সরব হতে সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী রাজনীতিকদের দেখা যায়, তেমন অন্য কোথাও দেখা যায় না বলে অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। অথচ বাংলার থেকে অপরাধ প্রবণতা বেশি থাকা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো রাজ্যে মানুষের অধিকারের দাবিতে কোনও প্রতিবাদীকে কেন খুঁজে পাওয়া যায় না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

সম্প্রতি রাজ্যে যে কটি নারী নির্যাতন বা খুনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে আইনি পদক্ষেপে রাজ্যের পুলিশ কোথাও বিচ্যুত হয়নি। তারপরেও রাজনীতি জিইয়ে রাখতে প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টার ছবিও রাজ্যে সাম্প্রতিককালে বিরল নয়। তারপরেও বাংলাতেই মানুষের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার বা প্রশাসন। সেই কথা স্মরণ করিয়ে অন্যান্য রাজ্যের ঘটনায় প্রতিবাদীদের নীরবতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “দু একটা কখনও কখনও ঘটে গেলে বাংলায় চিৎকার চেঁচামেচি হাহাকার বেশি হয়। করা উচিত, অধিকার আছে। অন্য় জায়গায় কোনও ঘটনা ঘটলে তখন মুখে সব লিউকোপ্লাস্টার (leocuplast) দিয়ে থাকে। একটা প্রতিবাদ (protest) করে না।”

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদের (protest) অধিকার দেখানোর পাশাপাশি দায়িত্ব পালনেও এগিয়ে আসার বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “যারা রাস্তায় আন্দোলন করে আমি বলি বেশি করে করুন, তাতে আমাদের শক্তি বাড়ে। এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু দয়া করে একটু প্রচার করুন ইউটিউবে (Youtube) যে বাজে বাজে ভিডিওগুলো দেওয়া হয় এগুলো দেখে বাচ্চারা খারাপ জিনিসটা শিখছে। এই ক্রাইম দেখে অন্যরা সেই ক্রাইমটা অনুকরণ করে। তাদের দায়বদ্ধতা নেই?”

সম্প্রতি যে পরিমাণ নারী নির্যাতন বা অপরাধের ঘটনা বেড়েছে তাতে অনেকটা দায় সোশ্যাল মিডিয়া ও টিভি সিরিয়ালের, দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। যাঁরা ভিডিও বানান তাঁদের এই ধরনের ভিডিও তৈরি নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। এমনকি তিনি নিজে সিরিয়ালে অপরাধের ঘটনা দেখানোর বিরোধিতা করার কথাও জানান।