রবিবাসরীয় সকালে গ্যালিফ স্ট্রিট পোষ্যের হাট দেখে মুগ্ধ বীরবাহা, ঘুরে দেখালেন কুণাল

0
1

পুজোর আগে শেষ রবিবাসরীয় সকালে গ্যালিফ স্ট্রিট পোষ্যের হাট দেখতে হাজির বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। এশিয়ার বৃহত্তম এই পোষ্যের হাট দেখে অভিভূত মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), তিনিই ঘুরে দেখালেন সবটা। গাছ, পাখি, পোষ্য প্রাণী থেকে শুরু করে এত বিপুল বৈচিত্র্যময় সমাহার দেখে নিজের মুগ্ধতা ব্যক্ত করলেন বীরবাহা। ছুটির সকালে যথেষ্ট ভিড় ছিল হাটে। আচমকা মন্ত্রীকে পেয়ে সকলেই খুশি। কাছের মানুষ কুণালের সঙ্গে অনেকে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করলেন। তৃণমূল (TMC) নেতা জানান, এখানে যা যা পাওয়া যায় সবটাই বৈধ। প্রায় পাঁচ লক্ষের বেশি পরিবার এই অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত।

প্রতি শনি এবং রবিবার পোষ্যের হাটে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়। এখান থেকে প্রিয় পোষ্যকে বাড়ি নিয়ে যেতে সাধারণ মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। নানা ধরনের পাখির সমাহারে উচ্ছ্বসিত বনমন্ত্রী। পাশাপাশি অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য রাখা দুষ্প্রাপ্য মাছের সম্ভারও খুঁটিয়ে দেখেন তিনি। এই হাটে শুধু যে পোষ্য প্রাণীর দেখা মেলে তাই নয়, নানা প্রজাতির গাছ পাওয়া যায়। মন্ত্রীকে সেই সব কিছুই ঘুরিয়ে দেখান রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। বীরবাহাকে একটি গাছ কিনেও দেন তৃণমূল নেতা। তিনি সকলকে অনুরোধ করেন যাঁরা পোষ্যপ্রেমী মানুষ তাঁরা যেন গ্যালিফ স্ট্রিট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির কাছ থেকেই প্রিয় পোষ্যকে ঘরে নিয়ে যান, তা সে কোনও প্রাণীই হোক বা গাছ। একদিকে অবলা এই প্রাণীরা আশ্রয় পাক, অন্যদিকে আরও মজবুত হোক ব্যবসায়ীদের অর্থনীতি।

বাগবাজার সখেরহাট ব্যবসায়ী ওয়েলফেয়ার সমিতির পক্ষ থেকে এদিন বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda) বলেন, তিনি বন দফতরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পশু পাখিদের নিজের পরিবারের সদস্য বলেই মনে করেন। ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে পুজোর আগে শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে যে বস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তারও প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন এটাই বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সকলকে নিয়ে চলতে ভালোবাসেন তাঁর একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে পুজোতে সব মানুষের একসঙ্গে আনন্দ উদযাপনের কথাও বলেন বনমন্ত্রী।কুণাল বলেন, ‘কলকাতা এবং এশিয়ার বৃহত্তম এই হাট আমাদের গর্বের কারণ। যে রঙিন মাছ বিক্রি হচ্ছে সেটা চাষ হচ্ছে বাংলার কোনও এক গ্রামে। ফলে এখানে যত বেশি মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে ততই অর্থনীতিতে তার একটা বড় প্রভাব পড়বে। তাছাড়া মনোবিদরাও বলছেন ভাল থাকতে হলে বাড়িতে পোষ্য রাখুন।’ সেই কথাও স্মরণ করান তৃণমূল নেতা। এই ওয়েলফেয়ার সমিতি সামাজিক কাজেও নিজেদের অবদান রেখেছে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এড়াতে কলকাতা পুরসভার হাতে পঞ্চাশ হাজার গাপ্পি মাছ তুলে দিয়েছেন এই সমিতির উদ্যোক্তারা। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে যখন সবুজায়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তখন এই হাটের তরফ থেকে সরকারকে বিপুলসংখ্যক চারা গাছ দেওয়া হয়েছিল যাতে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা যায়।