অবশেষে ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়ে গেল আমেরিকা-ইংল্যান্ড। ইজরায়েলকে বাগে আনতে যে হুথিরা হাত মিলিয়েছে হিজবুল্লার সঙ্গে, সেই হুথিদের উপর হামলা শুরু করলে আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের যুদ্ধ বিমান। যদিও এই পরিস্থিতিতেও লড়াইয়ের পন্থা নিয়ে বিবাদে ট্রাম্প ও বাইডেন। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) দাবি, হামলার প্রতিশোধ নিতে ইজরায়েলের উচিত প্রথমে ইরানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা করা। যদিও বাইডেন এই প্রস্তাব সাফ নাকচ করে দিয়েছেন।
রিপাবলিকান (Republican) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারে খুব কমই মধ্যপ্রাচ্য অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন। গত বুধবার ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”যখন তাঁকে (বাইডেনকে) এই প্রশ্ন করা হলো, তাঁর উত্তর হওয়া উচিত ছিল প্রথমে পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা করুন। বাকিটা পরে দেখা যাবে।”
গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে(Joe Biden) প্রশ্ন করা হয়, প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে (nuclear-sites) হামলা করলে তিনি তাতে সমর্থন করবে কিনা? এর জবাবে বাইডেন বলেন,”না।” কার্যত স্পষ্ট মধ্যপ্রাচ্যের লড়াই কতটা প্রভাবিত করছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকেও।
তবে পারমাণবিক কেন্দ্রে না হলেও চারদিক থেকে চাপ প্রয়োগ শুরু করল আমেরিকা। সঙ্গী ইংল্যান্ড। ইয়েমেনের (Yemen) বিভিন্ন শহরে বোমারু বিমান থেকে হামলার পাশাপাশি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি ইয়েমেনের। রাজধানী সানা (Sanaa) সহ ডামার (Dhamar), মুকায়রাস শহরেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি হুথি জঙ্গিদের। লেবাননের হিজবুল্লা বা গাজার হামাস, সব জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থেকে ইজরায়েলের উপর হামলা চালানোর কাজ করছিল হুথিরা। যদিও ইয়েমেনে হামলা চালানো নিয়ে আমেরিকার দাবি, বাণিজ্যিক জলপথ লোহিত সাগরকে (Red Sea) ভয়মুক্ত করতে হুথি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় তারা।