মুখ তুথড়ে পড়ল ‘অনুদান বয়কটের’ ডাক। রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদানের চেক গ্রহণ করছে রাজ্যের প্রায় সব জেলার পুজো (Pujo) কমিটিগুলি। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশ এলাকায় ৪১৮৮৯টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেছিল। তার মধ্যে ৪০৬৫৫টি পুজো কমিটি চেক পেয়ে গিয়েছে। বাকিরাও দুয়েক দিনের মধ্যেই চেক পেয়ে যাবে। আগে যারা অনুদান নিয়েছে এমন মাত্র ৫৯টি পুজো কমিটি এবার সরকারি (Government) সহায়তা নেয়নি। পাশাপাশি, গত বারের থেকেও বেশি সংখ্যায় পুজো কমিটি এবার সরকারি অনুদান পাচ্ছে।আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে পর বাম-বিজেপির (Left-BJP) পুজো অনুদান বয়কটের (Boycott) ডাক দিয়েছিল। কিন্ত বাস্তবে দেখা গেল, সেই ষড়যন্ত্র পুরোপুরি ব্যর্থ। বয়কটের ডাকে কোনও প্রভাব পড়ল না। রাজ্য়ের বেশিরভাগ জেলাতেই সমস্ত পুজো কমিটি মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া অনুদান গ্রহণ করেছে। বনগাঁ, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া গ্রামীণ, জঙ্গিপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি গ্রামীণ, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার পুলিশ জেলায় সরকারি অনুদান ফেরায়নি কোনও পুজো (Pujo) কমিটি। বীরভূম জেলাতেও সবকটি পুজো কমিটি সরকারের অনুদানের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
ঘটনা হল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় প্রায় ১৩০০ পুজো কমিটি অনুদান পেয়েছে, সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে মাত্র ৪টি পুজো কমিটি। রাজ্য পুলিশের পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, বিধাননগর পুলিশ জেলা এলাকায় অনুদান প্রত্যাখ্যানের হার সবচেয়ে বেশি। পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বিধাননগর এলাকায় বহু পুজো কমিটির কর্তা বাংলাভাষীরা নন। অভিযোগ, বিজেপির প্রভাব ও প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার কারণে এখানে তুলনামূলক ভাবে অনুধান বয়টকের সংখ্যা বেশি। এবার লোকসভা ভোটেও বিধাননগরে তৃণমূলের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
অথচ বিধাননগর এলাকার কোনও প্রভাব নেই পাশের পুলিশ জেলা ব্যারাকপুরে। সেখানে মাত্র দুটি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। আবেদনের সংখ্যা মোট ২৪৬৫। চন্দননগর পুলিশ জেলায় ৯টি পুজো কমিটি সরকারের অনুদান নিতে চায়নি।
পুজোর অনুদানের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। মোট ৩৯৩৬। তারা সবাই অনুদান মূল্য তথা ৮৫ হাজার টাকা করে চেক পেয়েও গিয়েছে।