উত্তরবঙ্গ ও রামপুরহাট মেডিক্যালে পরীক্ষা দুর্নীতির (Medical College Corruption) অভিযোগ উঠেছে।সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। কমিটিতে কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ(Kolkata medical college), এসএসকেএম(sskm) ও আরআইও-র অধির্কতা আছেন। কমিটিতে রয়েছেন এসএসকেএম-এর চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার। নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল(principal) ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। দুই মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানরা আগে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তবে এবার অধ্যক্ষ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন দুর্নীতি হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছে।
সংশ্লিষ্ট দুটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়মবিরুদ্ধভাবে শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট দুটি মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়ারা। তারপরই ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস(westbengal university of health sciences) এর তরফে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
আর জি কর-কাণ্ডের পর রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। এনিয়ে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়া চিকিৎসকদের একাংশ। যেখানে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, সেই আর জি কর মেডিক্যালে থ্রেট কালচারের অভিযোগে ৫৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত কমিটি। এরই মধ্যে বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের( rampurhat medical college) অধ্যক্ষ করবী বড়াল, প্রাক্তন ডিন কৌশিক কর এবং সহকারী অধ্যাপক ও প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহার বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগে সরব হয়েছেন পড়ুয়াদের একাংশ।
এক্ষেত্রেও আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌরভ পালের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এর আগে রামপুরহাট মেডিক্যালে থ্রেট কালচারের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। অধ্যক্ষ, প্রাক্তন ডিন ও সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ওঠা থ্রেট কালচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। আর এবার তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ, শুধু পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয়, কলেজের একাধিক বিষয়েও বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে অধ্যক্ষর নেতৃত্বে। সঠিকভাবে তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে।