মধুচক্রে (Sex Racket) যুক্ত কন্যা। তাঁর নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেওয়া হবে। পুলিশের তরফে ভুয়ো ফোন পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মা। এরপর হৃদ্রোগে আক্রান্ত (Heart disease) হয়ে মৃত্যু হল সেই শিক্ষিকার। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মালতি বর্মা (৫৮)। আগ্রার একটি সরকারি স্কুলের (Goverment School) শিক্ষিকা ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) একটি কল আসে। যিনি ফোন করেছিলেন, তাঁর প্রোফাইলে পুলিশের পোশাক পরা ছবি দেওয়া ছিল বলে অভিযোগ। নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি জানান, মধুচক্র থেকে তাঁর মেয়ে ধরা পড়েছে। এক লক্ষ টাকা দিলে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে তরুণীর বিরুদ্ধে কোনও মামলাও রুজু করা হবে না। এ বিষয়ে মৃতার ছেলে দীপাংশু রাজপুত জানান, “আমার মা মালতী ভার্মা আগ্রার একটি জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষিকা৷ দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর কাছে একটি ফোন আসে হোয়াটসঅ্যাপে ৷ ফোনে মাকে বলা হয়, তাঁর মেয়ে যৌন কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছে ৷ মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমাগত মাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ৷ ওরা নাম-পরিচয় ফাঁস করে দেবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়৷”
দীপাংশু আরও জানান, বিষয়টি বুঝতে পারি নম্বরটি ভালো করে দেখার পর। কোড নম্বর (Code Number) দেখে বুঝতে পারি নম্বরটি ভারতের না। +৯২ দিয়ে শুরু হয়েছিল নম্বরটি। দীপাংশু বলেন, “আমি আমার বোনকেও ফোন করে কথা বলি ৷ সবকিছু স্বাভাবিক ছিল ৷ আমি মাকে বলি তিনি যেন আর দুশ্চিন্তা না করেন ৷ কিন্তু মা খুবই চিন্তিত ছিলেন ৷ তাঁর শরীর খারাপ হতে থাকে ৷”
ঘটনার তদন্তে নেমে আগরার সহকারী পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner)মায়াঙ্ক তিওয়ারি বলেন, “পুলিশের নাম করে কেউ বা কারা প্রৌঢ়াকে ভুয়ো ফোন (Fake-call) করেন। তাতে তিনি ভয় পেয়ে যান এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কন্যা বাড়ি ফিরে আসার ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবারের ঘটনা। বৃহস্পতিবার ওঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কোথা থেকে ফোন এসেছিল, আমরা খতিয়ে দেখছি।”








































































































































